আফ্রিদিকে অবসরের পরামর্শ কাদিরের

সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছে না শহীদ আফ্রিদির। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যর্থতার জের ধরে পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলেও জানিয়েছিলেন, জাতীয় দলে খেলতে তাঁর আপত্তি নেই। যদিও তাতে মন গলেনি পাকিস্তানের নির্বাচকদের। জুলাইয়ে ইংল্যান্ড সফরের জন্য ঘোষিত প্রাথমিক দলে সুযোগ হয়নি আফ্রিদির। এই তারকা অলরাউন্ডারের জন্য এবার আরেকটি ধাক্কা। পাকিস্তানের স্পিন-কিংবদন্তি আবদুল কাদিরের মতে, জাতীয় দল থেকে অবসর নেওয়া উচিত আফ্রিদির।

এ বছর খেলোয়াড়-অধিনায়ক দুই ভূমিকাতেই আফ্রিদি চরম ব্যর্থ। ব্যর্থতার শুরু জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হার দিয়ে। এরপর ঢাকায় এশিয়া কাপে ফাইনালে উঠতে পারেনি পাকিস্তান। সবশেষে ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফ্রিদির দল বিদায় নিয়েছিল সুপার টেন থেকে।

এশিয়া কাপ আর বিশ্বকাপে আফ্রিদির ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সও ছিল অনুজ্জ্বল। ঢাকায় চার ম্যাচে দুই ইনিংসে ব্যাট করে মাত্র দুই রান করেছিলেন তিনি। উইকেট নিয়েছিলেন দুটি। ভারতে অবশ্য এতটা দুরবস্থা ছিল না আফ্রিদির। চার ম্যাচে ৯০ রান করার পাশাপাশি চার উইকেট নিয়েছিলেন।

কিন্তু দলীয় ব্যর্থতায় ঢেকে গেছে এই ‘সাফল্য’। আফ্রিদিকে নিয়ে রীতিমতো বিরক্ত পাকিস্তান ক্রিকেটমহলের একটা বড় অংশ। অনেকেই তাঁকে চিরতরে বাদ দেওয়ার পক্ষে। কাদির অবশ্য এতটা ‘নির্দয়’ না হয়ে বরং আফ্রিদিকে নিজে থেকেই সরে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সাবেক লেগস্পিনার বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না আর কোনো ক্রিকেটীয় দক্ষতা আছে আফ্রিদির। তাই তার বিদায় বলাই উচিত।’

আফ্রিদিকে মোলায়েম সুরে অবসরের পরামর্শ দিলেও আহমেদ শেহজাদ আর উমর আকমলের প্রতি ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি কাদির। বিশ্বকাপ শেষে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে এই দুজনকে দল থেকে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের সদ্য বিদায়ী কোচ ওয়াকার ইউনিস।

শেহজাদ-উমর ইংল্যান্ড সফরের প্রাথমিক দলেও সুযোগ পাননি। সেজন্য হয়তো স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন টেস্টে ২৩৬ ও ওয়ানডেতে ১৩২ উইকেট নেওয়া কাদির। ওই অনুষ্ঠানে শেহজাদ-উমর সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, ‘আমার কাছে শেহজাদ কোনো ক্রিকেটারই নয়। বরং সে একজন অভিনেতা। আর উমর আকমল নিজের ভুলেই দলে জায়গা হারিয়েছে।’



মন্তব্য চালু নেই