আফ্রিদি খুবই বিনয়ী : জাভেদ ওমর

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শহীদ আফ্রিদির এক বছরের সিনিয়র জাভেদ ওমর। আফ্রিদির ওয়ানডে অভিষেক ১৯৯৬ সালের অক্টোবরে, জাভেদ ওমর প্রথম ওয়ানডে খেলেছিলেন ১৯৯৫ সালের এপ্রিলে। বাংলাদেশ তখনো টেস্ট মর্যাদাই পায়নি।

ক্যারিয়ারের পরের সময়টায় জাভেদকে ছাড়িয়ে তরতর করে এগিয়ে গেছেন আফ্রিদি। কারণটা বোধগম্যই। জাভেদ ওমরের বাংলাদেশ যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগোচ্ছে, আফ্রিদির পাকিস্তান তখন প্রতিষ্ঠিত শক্তি। সে কারণে দুজনের ম্যাচের সংখ্যায় হয়ে গেছে বিস্তর পার্থক্য। আফ্রিদি খেলেছেন ৩৯৮ ওয়ানডে আর জাভেদ মাত্র ৫৯টি ওয়ানডে। টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ একটিও খেলেননি জাভেদ। আফ্রিদি খেলেছেন ৯৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। টেস্ট ম্যাচের সংখ্যায় অবশ্য আফ্রিদিকে পেছনে ফেলেছেন জাভেদ। আফ্রিদির ২৭ টেস্টের বিপরীতে জাভেদ খেলেছেন ৪০ টেস্ট।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জাভেদের পথ চলা থেমে গেছে কবেই। আর আফ্রিদি? সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলেছেন। আনুষ্ঠানিক অবসর এখনো নেননি। হয়তো মনে মনে আশা করে আছেন, আবার খেলতে নামবেন পাকিস্তানের হয়ে।

তারকাদ্যুতিতে আফ্রিদি-জাভেদের মধ্যে তুলনা হয় না। তুলনীয় নয় খেলার ধরনও। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারেও দুজনের অর্জনে অনেক পার্থক্য। কিন্তু সময়ের স্রোতে দুজনেই এক মোহনায় মিশেছেন। কাজ অবশ্য দুজনের ভিন্ন। এবারের বিপিএলে আফ্রিদির কোচের ভূমিকায় আছেন জাভেদ ওমর।

আগের দুটি বিপিএলে অল্প কিছু ম্যাচ খেললেও আফ্রিদি এবার রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলছেন টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের কোচ হওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশের সাবেক ওপেনারের মন্তব্য, ‘এই পর্যায়ে টেকনিক নিয়ে খুব কমই কাজ করা যায়। সময় কম থাকে। আমি আমার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নিচ্ছি। ওকে অন্যভাবে অনুশীলন করাচ্ছি। সে আমার প্রায় সমসাময়িক খেলোয়াড়। ওকে উদ্বুদ্ধ করি এভাবে, আরও দুই-তিন বছর খেলবে। বিপিএল এত বড় আসর। এমনভাবে খেলে যাও, পরের বছর সবাই তোমাকে নেওয়ার জন্য যেন পাগল থাকে! ও যেহেতু বেশি দিন খেলবে না, এভাবে ওকে অনুপ্রাণিত করি। বলি, তোমার ওপর আমরা নির্ভর করি। আমাদের দর্শকেরাও তোমাকে ভালোবাসে।’

রংপুরের জন্য আফ্রিদির সেরাটা বের করে আনতেই তাঁকে এভাবে অনুপ্রাণিত করা বলে জানালেন জাভেদ, ‘অবশ্যই আশা করি, ওর ক্যারিয়ার আরও একটু লম্বা হোক। ওর ভেতর থেকে সেরাটা বের করার জন্য এভাবেই অনুপ্রাণিত করি। তবে তার ওপর চাপ দিচ্ছি না। সে যদি ভালো খেলে, তাহলে দলের অন্যরাও সাহস পাবে। নিজেও আরও দুই-তিন বছর খেলতে পারবে।’

আফ্রিদিকে একজন টিমম্যানই মনে করেন জাভেদ। একই সঙ্গে পছন্দ করেন আফ্রিদির বিনয়ও, ‘এভাবে তার সঙ্গে কখনো কাজ করা হয়নি। সে খুবই বিনয়ী। মন থেকেই চায় দল ভালো করুক। ভালো খেলতে সে উদ্‌গ্রীব। তাঁর সঙ্গে কাজ করাটা তাই উপভোগ করছি।’-প্রথম আলো



মন্তব্য চালু নেই