কর্তৃপক্ষের নজর নেই

আবাদপুকুর-আদমদীঘি সড়ক খানা-খন্দকে ভরপুর, জনসাধারণের চরম ভোগান্তি

কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর (নওগাঁ) : নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বাণিজ্যিক নওগাঁ, বগুড়া ও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচলের একমাত্র আবাদপুকুর-আদমদীঘির সড়কটির মাঝে মাঝে বড় বড় খানা-খন্দকে ভরপুর। দেখে মনে হবে এ যেন রাস্তা নয় ছোট ছোট পুকুর। এতে প্রতিনিয়তই যাত্রী সাধারণদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আর ঘটেই চলেছে ছোট-বড় দুর্ঘটনার। সংস্কারের দিকে নজর নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাণীনগর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের প্রায় ৫০টি গ্রামের মানুষ আবাদপুকুর হয়ে নওগাঁ,বগুড়া ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার একমাত্র ভরসা এই সড়কটি। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করেন। একমাত্র এই সড়কটির আবাদপুকুর বাসস্ট্যান্ড, ভেটি ও পারইল ব্রিজের কাছে ও অন্যান্য স্থানে মাঝে মাঝে পাকা, ইট ও বালু উঠে গিয়ে প্রায় ১ হতে ২ফুট পর্যন্ত গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এই সব গর্তে পানি জমে তৈরি হয় ছোট ছোট পুকুরে।

পুরো রাস্তার মাঝে মাঝে পাঁকা উঠে যাওয়াই বৃষ্টির পানি জমে তৈরি হয়েছে এই সব বড় বড় গর্তের। দীর্ঘদিন যাবত এই সব বড় বড় গর্ত সহ রাস্তার কোন সংস্কারের কাজ না করায় আজ রাস্তা নামের দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

উপজেলার এই সব প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের প্রতিদিনই নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাতে মরণ ফাঁদ নামক এই রাস্তাটিই ব্যবহার করতে হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। অত্র এলাকাটি ধানের জন্য বিখ্যাত বলে এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত মাঝারি ও বড় বড় যানবাহন চলাচল করার সময় এই সব গর্তে যানবাহন উল্টে গিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেই চলেছে ।

অচিরেই যদি এই রাস্তার সংস্কারের কাজ করা না হয় তাহলে রাস্তাটি চলাচলের জন্য অনুপযোগি হয়ে পড়বে বলে স্থানীয়দের আশংকার। স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল হোসেন, কামাল আহমেদসহ অনেকে জানান, দীর্ঘদিন যাবত এই সড়কটির কোন সংস্কারের কাজ করা হয়নি। যার কারণে আজ রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। তারা আরও জানান, প্রতি বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার রান্তা সংস্কারের কাজ চললেও প্রায় ৫০টি গ্রামের মানুষদের চলাচলের একমাত্র এই রাস্তাটির সংস্কারের দিকে নজর নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

উপজেলা প্রকৌশলী মো: সাইদুল ইসলাম জানান, উপজেলার এই বগারবাড়ি-ভান্ডারগ্রাম রাস্তার বেহাল দশা সংস্কারের জন্য উপড়মহল বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই