আবারও বেঁধে রেখে শিশু নির্যাতন

দেশজুড়ে যখন শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় বইছে ঠিক সেই মুহুর্তে আবারও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটলো জামালপুরে। মুছা (১৩) নামের এক কিশোর রিকশাচালককে বেঁধে রেখে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার এ ঘটনায় মুছার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ এনে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় কয়েক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার দুপুরে এলাকাবাসী ওই কিশোরকে উদ্ধার করে মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসিমুল ইসলাম জানান, কিশোরকে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার ২ নম্বর আসামি শহীদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, মেলান্দহ পৌর এলাকার চাকদহ সরদারবাড়ির হতদরিদ্র দুলাল মাঝির ১৩ বছর বয়সী কিশোর ছেলে মুছা অভাবের তাড়নায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। সে বুধবার দিনভর রিকশা চালায়।

রাত ১২টার দিকে রিকশার মালিক রাজ্জাকের বাসায় রিকশা জমা দিতে যায় মুছা। বাড়ির গেটে মালিককে ডাকাডাকি করার সময় পাশের বাড়ির সাবেক পৌর কমিশনার আবদুল মালেকের ভাই রফিকুল ইসলাম ওরফে চিকু শেখের ঘুম ভেঙে যায়। পরে তিনি চুরির অভিযোগ এনে মুছাকে তার বাড়িতে নিয়ে বেঁধে রাখেন। রাতভর পরিবারের লোকজন মুছার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালান।

খবর পেয়ে ওই কিশোরের বাবা দুলাল মাঝি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ছেলেকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী চিকু শেখের বাড়ি থেকে মুছাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।



মন্তব্য চালু নেই