আবারও শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা

দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। কোনো কোনো স্থানে শিলা বৃষ্টির আশঙ্কার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিলা বৃষ্টি হয়েছে। ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে প্রচণ্ড শিলা বৃষ্টির তাণ্ডবে রাজধানীতে ছিন্নভিন্ন গাছের পাতা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ আহত হয়, গাছও উপড়ে যায়।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, শীতকাল শেষে সারাদিনের রোদে বায়ুমণ্ডলের উত্তাপ বেড়ে গেছে। অনেক দিন শীতল থাকার পর আবহাওয়া হঠাৎ গরম হলে বাতাস উপরে দিকে উঠে গিয়ে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় শিলায় পরিণত হয়। পরে তা বৃষ্টির সঙ্গে মাটিতে নেমে আসে।

এ সময় এমনটা হওয়া স্বাভাবিক বলেও জানিয়েছেন আহাওয়াবিদরা। রবিবার ফাল্গুন মাসের ২৩ তারিখ। ফাল্গুন ও চৈত্রের বসন্ত ঋতু এখন প্রকৃতিতে।

আবহাওয়া অধিদফতর রবিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, কুমিল্লা, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক

মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানতঃ শুষ্ক থাকতে পারে।

সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী ও ঈশ্বরদীতে ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে ১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ দশমিক ৪ ও সর্বনিম্ন ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিহার ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। অপর একটি পূবালী লঘুচাপের বর্ধিতাংশ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় অবস্থান করছে। এ মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

দীর্ঘ মেয়াদী পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, মার্চ মাসের শেষের দিকে দেখা মিলতে পারে মৃদু তাপপ্র্রবাহের, একই সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, মার্চ মাসে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে দিনের তাপমাত্রাও থাকবে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি।

মার্চ মাসের পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, এ মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দু’দিন মাঝারি বা তীব্র কালবৈশাখী/বজ্র-ঝড় ও দেশের অন্যান্য স্থানে তিন থেকে চার দিন হালকা বা মাঝারি কালবৈশাখী হতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই