আবারো পাকিস্তানে হামলার হুমকি ভারতের

পাকিস্তান যদি জঙ্গি রফতানি চালিয়ে যেতেই থাকে, তবে ভারতও নিয়ন্ত্রণরেখার ধার ধারবে না। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর আবারো এ ধরনের হামলা চালানো হতে পারে বলে ইসলামাবাদকে জানিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি।

১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের অবস্থান থেকে অনেকটাই সরে এসেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। পাকিস্তান কার্গিলে সৈন্য পাঠিয়ে নিয়ন্ত্রণরেখা নতুন করে তৈরির চেষ্টা করে কিন্তু ভারতীয় সেনা মুখের মত জবাব দেওয়ায় পুরনো অবস্থানে পিছিয়ে যেতে বাধ্য হয় তারা। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনও বলেন, রক্ত দিয়ে নতুন করে নিয়ন্ত্রণরেখা আঁকার কোনও প্রয়োজন নেই। ফলে চাপের মুখে পাকিস্তান মানতে বাধ্য হয়, নিয়ন্ত্রণরেখা অলঙ্ঘনীয়, কোনোমতেই তা টপকানোর চেষ্টা চলবে না।

কিন্তু মুখে সে কথা বললেও নিয়মিতভাবে নিয়ন্ত্রণরেখা টপকে ভারতে জঙ্গি পাঠানো একবারও বন্ধ করেনি পাকিস্তান। সাম্প্রতিক উরি সন্ত্রাস ও তারপর বারামুলা সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় একের পর এক হামলা তারই সর্বশেষ প্রমাণ। ফলে আগের নিয়ন্ত্রিত অবস্থান থেকে সরে এসে ভারতও স্পষ্ট করে দিয়েছে, দরকার পড়লেই নিয়ন্ত্রণরেখা টপকে পাকিস্তানি জঙ্গিদের তারা খতম করে দিয়ে আসবে। এমনকি প্রয়োজনে জঙ্গি হামলার আগেই জঙ্গিদের নিকেশ করে দেওয়া হবে।

পাকিস্তানকে এবার থেকে তৈরি থাকতে হবে, হামলা চালালে তার মুখের মত জবাব দেবে ভারতও। কবে, কোথায়, কীভাবে সেই জবাব আসবে, প্রশ্ন সেটাই। কয়েকটি সেনা ছাউনিকে সতর্কও করেছিল তারা। কিন্তু ভারত হামলার জন্য অন্য ছাউনিগুলিকে বেছে নেয়। এই অতর্কিত আঘাতের জন্য রাওয়ালপিন্ডির পাক জেনারেলরা প্রস্তুত ছিলেন না মোটেই। আর এ ধরনের হামলা যদি বারবার ঘটতে থাকে, তবে নিয়ন্ত্রণরেখার গুরুত্ব ক্রমাগত কমতে থাকাটাই স্বাভাবিক।

এতদিন পাকিস্তান যখনই জঙ্গি হামলা চালিয়েছে, ভারত কূটনৈতিকভাবে কিছু পদক্ষেপ করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি। ফলে বারবার প্রকট হয়েছে দিল্লির অসহায়ত্ব। কিন্তু এবার পুরনো রক্ষণশীলতার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে দিল্লি। এতদিন কয়েকজন জঙ্গি পাঠিয়ে অল্প খরচে ভারতের বড় বড় শহরগুলি রক্তাক্ত করে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিল ইসলামাবাদ। এবার তারা স্পষ্ট বুঝতে পেরেছে, ভারতকে সন্ত্রাসদীর্ণ করে তোলার জন্য মূল্য চোকাতে হবে তাদেরও। অর্থাৎ জঙ্গি সংক্রান্ত খরচ ও ঝুঁকি একলাফে বাড়তে চলেছে।

সূত্র : এবিপি আনন্দ।



মন্তব্য চালু নেই