আবেগগত বুদ্ধিমত্তা সমৃদ্ধ করতে চান? ১০ বিষয় জেনে রাখুন

১. নির্ভেজাল ব্যক্তিত্বের অধিকারী হোন
সৎ ও নির্ভেজাল মানুষকে সবাই ভালোবাসে। কৃত্রিমতা কেউ-ই পছন্দ করে না। কারণ মানুষ জানে, এই মানুষটির ওপর বিশ্বাস আনা যায়। এসব মানুষ নিজের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী থাকেন। তাঁরা যেকোনো মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিতে পারেন।

২. সঠিক প্রশ্ন করুন
অনেকেই আছে ভালো শ্রোতা। কিন্তু শ্রোতারও গুণগত মান থাকে। এটা প্রকাশ পায় তার করা প্রশ্নের মাধ্যমে। এমনিতেই ফালতু প্রশ্ন যেকোনো মানুষের কাছে বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। তাই চিন্তাপূর্ণ ও অর্থপূর্ণ হতে হবে প্রতিটি প্রশ্ন। যারা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করতে পারে তারা অন্যদের নজরে পড়ে।

৩. মতামত প্রকাশ করুন
যদি পছন্দনীয় হতে চান তো মতামত প্রকাশে পিছিয়ে থাকবেন না। কেউ-ই এমন মানুষের সঙ্গে কথা বলতে চায় না যার কোনো চিন্তাধারা নেই। পেশা জীবনে এমন মানসিকতা ধরে রাখা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। যেখানে কথা বলা দরকার, সেখানে অবশ্যই মুখ খুলতে হবে।

৪. অন্যের মনোযোগ পাওয়ার চেষ্টায় থাকবেন না
সবাই অন্যের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টায় থাকে। এ বিষয়টি সবার চোখে পড়ে। কিন্তু যারা বহির্মুখী তারা এমনিতেই সবার নজরে পড়ে। বন্ধুভাবাপন্ন হয়ে উঠুন। আত্মবিশ্বাস ও বিনয়ের সংযোগ ঘটান। মানুষের মনোযোগ এমনিতেই মিলবে যখন আপনি সবার বন্ধু হয়ে উঠবেন।

৫. অবিচল থাকুন
যখন কোনো মানুষ আপনার সঙ্গে পরিচিত হন তখন তিনি আপনার ব্যক্তিত্বের দৃঢ়তা বুঝতে চান। অটল মনের অধিকারীদের সবাই পছন্দ করে। নিজের বক্তব্য, আচরণ ও চিন্তায় দৃঢ় মানসিকতার মানুষদেরই পছন্দ করে সবাই।

৬. অঙ্গভঙ্গিতে ইতিবাচক হয়ে উঠুন
মানুষের মনে ঠাঁই পাওয়ার আরেকটি উপায় হলো ইতিবাচক অঙ্গভঙ্গি। মুখের কথার সঙ্গে দৈহিক ভঙ্গি স্পষ্ট করুন। আপনার কথাকে আরো ওজনদার করে দিতে পারে সঠিক ভঙ্গি। উদ্দীপ্ত কণ্ঠ, ছড়ানো দুই হাত এবং চোখে চোখ রাখার মাধ্যমে মানুষের মনে ঢুকে যেতে পারেন অনায়াসে।

৭. প্রথম দর্শনে অতুলনীয় থাকুন
গবেষণায় বলা হয়, দেখা হওয়ার প্রথম কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই একজন মানুষ সম্পর্কে ধারণা করে নেয় অন্যরা। তাই প্রথম দর্শনেই তাদের মনে জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ থাকে। আত্মবিশ্বাসী ঢং, আন্তরিক হাসি ও করমর্দন এবং উদারতার মাধ্যমে প্রথমেই অন্যের পছন্দের হয়ে উঠুন।

৮. নাম ধরে ডাকুন
পরিচিত হওয়ার পর মানুষের নাম ধরে ডাকুন। সব মানুষ অন্যের মুখে তার নিজের নামটি শুনতে পছন্দ করে। তাই এটা একটা কার্যকর উপায় হতে পারে। কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বা শুভেচ্ছা জানাতে তার নাম ধরে ডাকুন। এতে আপনাকে ওই মানুষটি কাছের কেউ বলেই মনে করবে।

৯. স্পর্শের সংযোগ মানুষ বুঝে
কথোপকথনের সময় কাউকে স্পর্শ করার মাধ্যমে আন্তরিকতার প্রকাশ ঘটে। কাঁধে আলতো করে হাত রাখার মাধ্যমে এ কাজটি করা যায়। এই স্পর্শে অন্যের দেহে অক্সিটোসিন হরমোনের ক্ষরণ ঘটে। এতে ইতিবাচক অনুভূতির সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া বন্ধুত্বপূর্ণ করমর্দন বা জড়িয়ে ধরার মাধ্যমেও ঘটনাটি ঘটতে পারে।

১০. আসক্তি ও কৌতুকের মধ্যে ভারসাম্য আনুন
মানুষ তার আবেগ দিয়ে পছন্দ করা বিষয়কে মূল্য দেয়। তাই অন্যের এমন বিষয় নিয়ে কৌতুক করবেন না। মানুষের সত্যিকার আসক্তি আর কৌতুক বিষয়ে ভারসাম্যপূর্ণ কথা বলতে হবে। সহজেই অন্যের সিরিয়াস বিষয় নিয়ে মজা করবেন না।
–হাফিংটন পোস্ট অবলম্বনে সাকিব সিকান্দার



মন্তব্য চালু নেই