আবেদ খানের সেই রিপোর্ট প্রকাশ হলে হয়ত বঙ্গবন্ধুকে ওরা মারতে পারত না!

আরও একবার শুরু হয়েছে শোকের মাস আগস্ট। বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে নির্মম দিন এই মাসেই এসেছে। বাংলাদেশকে স্তব্ধ করে দেয়া ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের আগে সাংবাদিক আবেদ খান সেনাবাহিনীতে ষড়যন্ত্রের আঁচ পেয়ে একটি দৈনিকের ইত্তেফাকের জন্য একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন। কিন্তু তৎকালীন সময়ে ওই পত্রিকার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সেটি প্রকাশ হতে দেননি। সাংবাদিক আবেদ খানের লেখা থেকে সেই কথা তোলে এনে শোকের মাস শুরুর প্রাক্কালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রবাসী সাংবাদিক ফজলুল বারী।

তিনি লিখেছেন:

কালের কণ্ঠে ‘ইতিহাসের কাছে আমার দায়’ শিরোনামের লেখাটি লিখেছিলেন সাংবাদিক আবেদ খান। পঁচাত্তরে তিনি ইত্তেফাকে কাজ করতেন। সে সময় তার একটি ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপা হচ্ছিল। একদিন বিচিত্রার শাহাদাত চৌধুরী তাকে কিছু সেনা কর্মকর্তার সংগে পরিচয় করিয়ে দেন। ফারুক,রশীদ, ডালিম সহ পঁচাত্তরের খুনিদের প্রায় সবাই ছিল সেই আড্ডায়। তারা সেখানে বঙ্গবন্ধু ও তার সরকারের নানা অসন্তোষ সেখানে তুলে ধরেন। সেনাবাহিনীতে থাকা অবস্থায় কিছু সেনা কর্মকর্তার মুখে রাষ্ট্র প্রধানের বিরুদ্ধে এমন কুৎসা শুনে চমকে ওঠেন আবেদ খান। তিনি ধারনা করেন ভিতরে ভিতরে কিছু একটা হচ্ছে! অফিসে ফিরে তিনি এ নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করেন। আবেদ খানের রিপোর্ট। তাই তা না দেখেই কম্পোজে পাঠিয়ে দেন চিফ রিপোর্টার।

রাতে পত্রিকা ছাপা শুরুর পর রিপোর্টটি নজরে আসে প্রেসের এক কর্মকর্তার। তিনি পত্রিকার সম্পাদক আনোয়ার হেসেন মঞ্জুকে ফোন করেন। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ছুটে এসে পত্রিকা ছাপা বন্ধ করেন। রিপোর্টটি তুলে ফেলে সেখানে অন্য রিপোর্ট বসিয়ে শুরু করা হয় নতুন করে পত্রিকা ছাপার কাজ। এভাবে সেই রিপোর্ট আর আলোর মুখ দেখেনি। আবেদ খান লিখেছিলেন, এটি ছিল ইতিহাসের কাছে আমার একটি দায়।

যদি রিপোর্টটি ছাপা হয়ে বাজারে যেত তাহলে হয়তো সরকার সতর্ক হতো। বঙ্গবন্ধুকে এভাবে মরতে হতোনা। আজ পহেলা আগস্ট। জাতীয় শোকের মাসের শুরু। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে মনে করতে গিয়ে প্রিয় আবেদ ভাই’র লেখাটির কথা মনে পড়লো।

2223



মন্তব্য চালু নেই