‘আমাকে বাঁচাতে হলে জাতীয় পার্টিকে ফের ক্ষমতায় আনতে হবে’

২০১৯ সালে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনকে জীবনের শেষ নির্বাচন হিসেবে অভিহিত করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি বলেন, ‘জীবনের শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছেছি। কতদিন আর বাঁচব…। আমাকে বাঁচাতে হলে জাতীয় পার্টিকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে। আমাকে নতুন জীবন দাও।’

রবিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মহাসমাবেশে এরশাদ এসব কথা বলেন। আগামী নির্বাচনের দলকে শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

প্রায় দুই বছর পর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ করল জাতীয় পার্টি। সকাল সোয়া ১০টায় শুরু হয় সমাবেশ। দলের চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ এবং সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ সকালে সমাবেশস্থলে এসে জাতীয় পতাকা ও দলের পতাকা উত্তোলন ও পায়রা ওড়ানোর মধ্যে দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন। ৩১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই সমাবেশে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ জমায়েত হয়েছিল।

সমাবেশে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় গেলে আমরা প্রাদেশিক সরকার করবো। এই সরকার দিয়ে আমরা উপকৃত হইনি, নিষ্পেষিত হয়েছি। এভাবে দেশ চলতে পারে না। তাই প্রাদেশিক সরকার চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ব্যাবস্থা করবো। প্রত্যেক উপজেলায় গুচ্ছগ্রাম করে দেবো। এখন যা আছে- তাতে উপজেলা শাসন করেন ইউএনও। আমরা উপজেলা পরিষদকে শক্তিশালী করবো। কারণ আমরা চাই জনগণের নেতা জনগণকে শাসন করবে।’

ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য সংসদ, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা করবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমার শেষ জীবনের চাওয়া- জাতীয় পার্টিকে আবার ক্ষমতায় দেখতে চাই। দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য শক্তি প্রয়োজন, নির্ভর করছে তোমাদের ওপর। দলকে শক্তিশালী করুন।’

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র কো চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, কো চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, কাজী ফিরোজ রশীদসহ অনেকে।



মন্তব্য চালু নেই