‘‘আমাকে বুঝতে পারলেনা, ভালবাসা নিয়ে পাগলামি করা যায়না”

‘‘ গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার আসলাম মন্ডলের ভাড়া বাসা থেকে সোমবার সন্ধ্যায় আরফিনা আক্তার (২৫) নামের এক যুবতীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত আরফিনা আক্তার দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার রসূলপুর এলাকার আব্দুল আজিজের মেয়ে এবং শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রী কলেজের ডিগ্রী শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিল।

নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ সানোয়ার জাহান জানান, নিহত আরফিনা আক্তার এক/দেড় মাস আগে উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় তার বোনের ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসে। তার বোন পারুল আক্তার ও বোন জামাই নবী হোসেন পোশাক কারখানার শ্রমিক। প্রতিদিনের মত সোমবার সকালে তারা কারখানায় চলে যায়। পরে দুপুরের কোন এক সময় সে ঘরে থাকা সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।

পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। উদ্ধারের সময় ঘরের খাটের উপর পড়ে থাকা একটি চিরকুট উদ্ধার করে পুলিশ। চিরকুটে উল্লেখ, ‘‘আমাকে বুঝতে পারলেনা হাফিজ, ভালবাসা নিয়ে পাগলামি করা যায়না। আর সবাই বেদনা সইতে পারেনা। বউ বলে একবার স্বিকৃতী দিও আমার শেষ চাওয়া। মৃত্যুর যন্ত্রণা অনেক বেশী ভালবাসার চাইতে। নিজে চোখে দেখলাম আমার জন্য আর কাউকে টেনশন করতে হবে না। অনেক কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকা যায় না। আমি তো ভালবাসার জন্য মরেছি, অনেক ভালবাসতাম তোমাকে হাফিজ। জীবনটা বড় নিষ্ঠুর। বেঁচে থেকে যন্ত্রণা বাড়ছে মরাই ভাল।’’

নিহতের বড় বোন পারুল আক্তার জানায়, দেড় বছর আগে পাবনার সুজানগর থানার গোবিন্দপুর গ্রামের হাফিজ নামের এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে আরফিনার। হাফিজ মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংক গুলশান শাখায় কর্মরত।

কিন্তু বেশ কিছুদিন আগে হাফিজ অন্যত্র বিয়ে করে। এর সূত্র ধরেই আরফিনা আত্মহত্যা করেছে।

কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল মোতালেব মিয়া জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।



মন্তব্য চালু নেই