আমার বক্তব্যে কোনও রাষ্ট্রদ্রোহিতা ছিল না : মান্না

সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে কথোপকথনের সময় রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কোনও কথা বলেননি বলে জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণ কথা শুনতে পারিনি। তবে যতটুকু শুনেছি তাতে কোনও রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক বক্তব্য নেই।’

সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমি জীবনে কোনও রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক রাজনীতি করিনি, ভবিষতেও করবো না। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলার কোনও কথা আমি বলিনি এবং এমন কথা বলার প্রশ্নই ওঠে না। ওই কথার মধ্যে সব কথা আমার কি না তাও আমি জানি না।’

পাসপোর্ট আটকে রেখে জামিন দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ। ডাক্তার আমাকে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে বলেছে। কিন্তু আমি যেতে পারছি না। তাই আমি হাইকোর্টের কাছে আবেদন করবো যেন আমার পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আমি চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে চাই।’

দেশের কারাগার এখনও মানবিক নয় উল্লেখ করে মান্না বলেন, ‘আমি এবার ২২ মাস কারাগারে ছিলাম। এর আগে তরুণ বয়সে এর চেয়ে বেশি সময় কারাগারে কাটিয়েছি। কিন্তু তখন এতো কষ্ট হয়নি। এবার আমি অসুস্থ ছিলাম তাই খুব কষ্টে ছিলাম। আমাদের দেশে কারাগার আরও মানবিক হওয়া প্রয়োজন।’

নির্বাচন কমিশন গঠনে সব দলের কাছে রাষ্ট্রপতির আহ্বানের বিষয়টি কীভাবে দেখেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যেটা করছেন তা কেবল ‘ফরমালিটি’ বলেই আমার কাছে মনে হয়। সংলাপে কী হবে, না হবে তা আমার জন্য বলা দুস্কর। তবে নির্বাচন কমিশন যতই নিরপেক্ষ হোক, নিরপেক্ষ সরকারেরর অধীনে নির্বাচন না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাকে দেখতে গেছেন উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমাকে তিনি দেখতে গিয়েছিলেন, এ জন্য আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। তার সঙ্গে আমার সবসময় সুসম্পর্ক রয়েছে। আমরা একই বয়সী এবং আমাদের সম্পর্কও বন্ধুত্বপূর্ণ।’

অন্যদিকে কারাগারে থাকা অবস্থায় সাংবাদিকদের ভূমিকাতেও তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এস এম আকরাম, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি নাজমুল হোসেন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ মার্চ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মাহমুদুর রহমান মান্না এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করায় সাদেক হোসেন খোকাকে পলাতক ঘোষণা করা হলেও এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন মাহমুদুর রহমান মান্না। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান।



মন্তব্য চালু নেই