‘আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘এমনিতেই বিরোধীদলের উপর অত্যাচার নির্যাতন চলছে। মামলা মোকদ্দমা করা হচ্ছে। আমার এ বাড়ি সংক্রান্ত মামলাটি বিচারিক আদালতে রায়ের দীর্ঘ সময় অর্থাৎ সাত বছর পর সরকার আপিল করে। সাধারণত এতো বিলম্বে কখনো আপিল হয় না।’

সুপ্রিম কোর্ট সাধারণ এত বিলম্ব মার্জনাও করে না। তারপরও আদালত মার্জনা করেছে। আমরা মনে করি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার আশ্রয় নিয়ে সরকার সাত বছর বিলম্বে আপিল করেছে।

তিনি বলেন, ‘এটি ক্রয় করা বাড়ি। সরকারের বাড়ি নয়। ১৯৮০ সালে বিদেশী নাগরিকের কাছ থেকে দলিল করে বাড়িটি ক্রয় করা হয়েছে।ঐ বাড়ির ওপর সরকারের কোনো অধিকার নেই। ১৯৮১ সাল থেকে বাড়িতে আছি। এই বাড়ি নিয়ে একটি মামলা বিচারিক আদালত আমাদের বিরুদ্ধে রায় দেয়। হাইকোর্ট ও রায় বাতিল করে আমাদের পক্ষে রায় দেয়।’

মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমি যদি বিরোধীদলে না থাকতাম তাহলে সরকার এতো আগ্রাসী হতো না। রাজনীতি করি বলেই অ্যাটর্নি জেনারেল অস্ট্রিয়া গিয়েছেন মামলার তথ্য সংগ্রহ করতে। তারা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে। এখন আমরা রায়ের অপেক্ষায় রয়েছি। রায় পেলে রিভিউ করা হবে।’

সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে দুদক যে ফৌজদারি মামলা করেছে সেটিও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার আরেটি রূপ। আপিল বিভাগ বাড়ি সংক্রান্ত দেওয়ানি মামলা চলমান থাকার পরও দুদক এ মামলাটি করে। আজ আপিল বিভাগ এ মামলাটি বাতিল করে দিয়েছে। যার কারণে আমি রাজনৈতিক হয়রানি থেকে রক্ষা পেয়েছি।’

রাজধানীর গুলশান-২ এর ১৫৯ নম্বর প্লটের বাড়িটি মওদুদ আহমদের ভাই মনজুর আহমদের নামে মিউটেশন (নামজারি) করার জন্য হাইকোর্ট রায় দেয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)আপিল করে।আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ রাজউকের আপিল গ্রহণ করে। এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলাটি বাতিল করে দিয়েছে আপিল বিভাগ। ফলে দুদকের মামলাটি বাতিল হলেও বাড়ির জায়গাটি রাজউকের নামে মিউটেশন হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।



মন্তব্য চালু নেই