আমের আঁটির বিস্ময়কর ৬ স্বাস্থ্যগুণ আপনি জানেন কি?

প্রায় প্রতিদিনই আম, আমের লাচ্ছি অথবা আমের রস খাওয়া হচ্ছে। আম পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে মেলা ভার। আম খাওয়ার পর এর আঁটিটি কী করেন? ফেলে দিন নিশ্চয়। কিন্তু আপনি কি জানেন ফেলা দেওয়া এই আমের আঁটিটিতে লুকিয়ে আছে অনেকগুলো স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান! কি অবাক হচ্ছেন? অবাক হবার কিছু নেই, আম এবং আমের আঁটিটিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা ত্বক এবং চুলের পুষ্টি যুগিয়ে থাকে। এছাড়া কোলেস্টেরল, ডায়ারিয়া প্রতিরোধেও আমের আঁটি বেশ কার্যকর।

১। খুশকি দূর করতে

আমের আঁটি খুশকির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিবে। আমের আঁটির গুঁড়ো করে এটি সরিষা তেলের সাথে মিশিয়ে নিন। এটি সূর্যের আলোতে কিছুদিন রাখুন। তারপর এটি মাথার তালুতে ভাল করে লাগিয়ে নিন। কয়েক ঘণ্টার পর চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি খুশকির সমস্যা দূর করার সাথে সাথে চুল পড়া এবং চুল পাকা সমস্যারও সমাধান করে দেবে।

২। দাঁত সাদা করতে

আমের আঁঠির গুঁড়ো খুব ভাল টুথ পাউডার হিসেবে কাজ করে। টুথ ব্রাশে আমের আঁটির গুঁড়ো লাগিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন। এটি দাঁত সাদা করার পাশপাশি দাঁত এবং মাড়ি মজবুত করবে।

৩। ডায়ারিয়া প্রতিরোধে

আমের আঁটির গুঁড়ো দিনে ২-৩ বার খান, এটি ডায়ারিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করবে। এছাড়া ১-২ গ্রাম আমের আঁটির গুঁড়োর সাথে মধু মিশিয়ে খান, এটি ডায়ারিয়া দূর করে দেবে নিমিষে।

৪। কোলেস্টেরল প্রতিরোধে

আমের আঁটি রক্ত চলাচল সচল রেখে রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে থাকে। এটি রক্তে চিনির মাত্রা এবং প্রোটিন লেভেল নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।

৫। ব্রণ দূর করতে

আমের আঁটির গুঁড়োর সাথে টমেটোর পেস্ট মিশিয়ে নিন। এটি ত্বকে স্ক্রাবের মত ব্যবহার করুন। এটি ত্বক এক্সফলিয়েট করে, ব্ল্যাক হেডেস, ব্রণ দূর করে দেয়। এটি আপনি প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন।

৬। স্বাস্থ্যজ্বল চুল

আমের আঁটির বাইরের অংশটুকু ফেলে দিন। এর ভিতরের অংশের সাথে নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, তিলের তেল অথবা সরিষা তেল মিশিয়ে একটি গ্লাসের জারে রাখুন। এটি এক সপ্তাহ রোদে রাখুন। এই তেলটি নিয়মিত চুলে ব্যবহার করুন। এটি চুল পড়া রোধ করবে, চুল কালো এবং ঘন করে তুলবে।



মন্তব্য চালু নেই