আমের পাতার অসাধারণ ৭ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

আম খেতে সবাই পছন্দ করে। আমের স্বাস্থ্য উপকারিতার বিষয়েও কারো সন্দেহ নেই। কিন্তু আম পাতাও স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি যা আনেকেই জানেন না। আম পাতা ভিটামিন, এনজাইম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ উপাদানে ভরপুর। আম পাতায় মেঞ্জিফিরিন নামক সক্রিয় উপাদান থাকে যার অপরিমেয় স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। কচি আমের পাতা সিদ্ধ করে সেই পানি পান করা বা পাতা গুরু করে খাওয়া যায়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে আম পাতার ব্যবহার বর্ণনা করা হয়েছে। আম পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো সম্পর্কে জেনে নিই চলুন।

১। ডায়াবেটিস নিরাময়ে

কচি আমের পাতায় ট্যানিন নামক অ্যান্থোসায়ানিডিন থাকে যা প্রারম্ভিক ডায়াবেটিস নিরাময়ে খুবই কার্যকরী। আম পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে একটি বৈয়মে রেখে দিন। প্রতিদিন ১ চামচ আমপাতার গুঁড়ো গরম পানিতে সিদ্ধ করে চায়ের মত পান করতে পারেন অথবা তাজা পাতা পানিতে ভিজিয়ে সারারাত রেখে দিন, সকালে পানিটি ছেঁকে নিয়ে পান করুন। ডায়াবেটিসের সূত্রপাত হয়েছে এমন রোগীদের জন্য আম পাতা অনেক উপকারি। শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ও হাইপারগ্লাইসেমিয়া কমাতে সাহায্য করে কচি আমপাতা।

২। হাইপারটেনশন কমায়

আম পাতায় হাইপোট্যান্সিভ উপাদান আছে যা উচ্চ রক্তচাপ কমতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য তিন সপ্তাহ যাবত প্রতিদিন কয়েকবার আম পাতার চা পান করুন।

৩। আমাশয় ভালো করে

আম পাতা আমাশয় নিরাময়ে কাজ করে যা ঐতিহ্যগতভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। রোদ থেকে দূরে ছায়াতে রেখে আম পাতা শুকিয়ে গুঁড়া করে নিয়ে মসৃণ পাউডার তৈরি করা হয়। আন্ত্রিক রোগ নিরাময়ের জন্য দিনে কয়েকবার এই পাউডার খেতে হবে।

৪। আঁচিল নিরাময়ে

পরিপক্ক আম পাতা পুড়িয়ে কালো করে গুঁড়া করে নিন। সামান্য পানি মিশিয়ে পেস্টের মত তৈরি করে আঁচিলের উপরে লাগালে আঁচিল দূর হবে। আঘাত প্রাপ্ত স্থানে রক্ত বন্ধ করার জন্যও এই পেস্ট ব্যবহার করা যায়।

৫। উদ্বিগ্নতা কমায়

আম পাতা ভেজানো পানি ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে খেলে শান্ত বা স্থির হতে সাহায্য করে। যেহেতু আম পাতায় রক্ত চাপ কমানোর উপাদান আছে তাই এটি অ্যাংজাইটি দূর করতেও খুব ভালো কাজ করে।

৬। কিডনি ও পিত্তপাথর অপসারণ করে

আম পাতার চা কিডনি ও পিত্তপাথর ভাঙ্গতে ও দেহ থেকে বাহির হয়ে যেতে সাহায্য করে। পাথর অপসারণের জন্য এক গ্লাস পানিতে আম পাতা চূর্ণ মিশিয়ে পান করুন।

৭। মাড়ির সমস্যায়

আম পাতার ছাই দাঁত ব্যথা কমতে সাহায্য করে। আম পাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের বিভিন্ন প্রকার সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়।

আম পাতা বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্যের উপকার করে থাকে। তবে আম পাতার চায়ে আপনার অ্যালার্জির সমস্যা হয় কিনা তা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। আম পাতায় আম গাছের আঠা বা কষ আছে কিনা দেখে নিতে হবে, তা না হলে এই কষ শরীরে প্রবেশ করলে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তাছাড়া এই কষ ত্বকে লাগলে ত্বক পুড়ে যেতে পারে।প্রিয়.কম



মন্তব্য চালু নেই