আম পাড়ার অপরাধে শিক্ষার্থীর হাত ভেঙ্গে দিল প্রহরী

মোঃ শামীম আখতার, উপজেলা প্রতিনিধি, মিঠাপুকুর (রংপুর)॥ রংপুরের মিঠাপুকুরে আমপাড়ার অপরাধে মুন্না মিয়া (১৩) নামে নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর হাত ভেঙ্গে দিয়েছে নৈশ্য প্রহরী। ঘটনাটি ঘটেছে রানীপুকুর ইউনিয়নের মাদারপুর একআন দাখিল মাদরাসায়। ওই শিক্ষার্থীর বাবা মমতাজ আলী বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন।

এলাকাবাসী ও এজাহার সুত্রে জানা গেছে, রানীপুকুর মাদারপুর গ্রামের মমতাজ আলী শিশুপুত্র মুন্না মিয়া (১৩)। সে স্থানীয় মাদারপুর একআন দাখিল মাদরাসায় নবম শ্রেণীর ছাত্র। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মুন্না মিয়া ও কয়েকজন বন্ধু মিলে খেলার এক পর্যায়ে মাদারপুর একআন মাদরাসার গাছের আম পাড়তে যায়। এসময় মাদরাসার নৈশ্য প্রহরী মোস্তাফিজার রহমান তাদের ধাওয়া দেন। ধাওয়া খেয়ে সকল বন্ধু পালাতে পারলেও মুন্না যেতে পারেনি। এ সুযোগে মোস্তাফিজার রহমান লোহার রড় দিয়ে তাকে বেধরক মারপিট করে। এতে, মুন্নার ডান হাত ভেঙ্গে যায়। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এ ঘটনায় মুন্নার বাবা মমতাজ আলী বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি এজাহার দেন। মমতাজ আলী বলেন, আমার পরিবারের ক্ষতি করার জন্য মোস্তাফিজার রহমান দির্ঘদিন ধরে সুযোগ খুজঁছিলো। ইতোপূর্বে থানায় তাঁর বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারী একটি সাধারন ডায়েরী করা আছে। যার নং- ৭৩২।

তিনি আরও বলেন, নৈশ্য প্রহরীর কাজ রাতে। অথচ, মোস্তাফিজার দুপুরে সুযোগ পেয়ে আমার ছেলের প্রাণনাশের চেষ্টা করেছে। হাসপাতালে অসুস্থ্য মুন্না মিয়া বলে, আমি বন্ধুদের সাথে খেলছিলাম। এক সময় আমরা মাদরাসার গাছে আম পাড়তে যাই। এসময় নাইটগার্ড মোস্তাফিজার আমাদের গালিগালাজ করতে থাকে। পরে, লোহার রড় নিয়ে এসে আমার হাতে আঘাত করে। মাদারপুর একআন দাখিল মাদরাসা সুপার মৌলভী মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা চলছে।

মিঠাপুকুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আছের আলী বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আহত ছাত্রকেও দেখেছি। পরবর্তীতে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। নৈশ্য প্রহরী মোস্তাফিজার রহমান বলেন, মুন্নাসহ কয়েকজন ছেলে মাদরাসার গাছে আম পাড়ছিলো। আমি তাদের ইউক্লিপটার্স গাছের ডাল দিয়ে দু’একটি ডাং মারি।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, মোস্তাফিজার এলাকার প্রভাবশালী। মোস্তাফিজার তাঁর লোকজন মিলে বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা চালাচ্ছে। ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন মুন্নার পরিবারকে।



মন্তব্য চালু নেই