‘আলমারির মধ্যে কাস্টমারদের সঙ্গে জোর করে যৌনমিলন করতে হতো’

রাজধানী দিল্লির বুকে ধরা পড়ল বড়সড় এক মধুচক্র। আলমারির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হল কিশোরী থেকে যুবতীদের। অভিযোগ, পার্টিশন করা পাশাপাশি কিউবিকলের মধ্যে খদ্দেরের সঙ্গে শুতে হত তাঁদের। নারীপাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে আটজনকে। যাদের মধ্যে একজন দম্পতিও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ই দম্পতির বিরুদ্ধে নারী পাচার সহ বেআইনিভাবে সেক্স র‍্যাকেট চালানোর অভিযোগ। এর পিছনে বড়সড় কোনও চক্র কাজ করছে কিনা তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, নেপাল এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা অর্থাৎ বাংলা, ওড়িশা, আসামের মতো বিভিন্ন জায়গা থেকে মহিলাদের আনা হত।

ধৃতদের মধ্যে এক দম্পতিও রয়েছে, সায়রা বেগম ও আফাক হুসেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয় দিল্লির জিবি রোডের ওই যৌনচক্রের ডেরাটিতে। অভিযোগ, ‘সিন্ডিকেট’-এর মাধ্যমে চলত দেহব্যবসা। নেপাল সহ পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, কর্নাটক, আসাম, অন্ধের প্রত্যন্ত জায়গা থেকে প্রায় ৫০০০ কিশোরী ও যুবতীদের পাচার করা হয়েছে। ৫০,০০০ টাকায় কিনে বিক্রি করা হত ২ লাখ টাকায়। একবার এই ডেরায় নিয়ে আসার পর তাঁদের রাখা হত আলমারির ভেতরে, সুড়ঙ্গের মধ্যে।



মন্তব্য চালু নেই