আল্লামা শফীর নেতৃত্বে গণভবনে তিন শতাধিক আলেম

কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা সনদের স্বীকৃতির ঘোষণা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন দেশের শীর্ষ আলেমরা। কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফী তিন শতাধিক আলেমের নেতৃত্বে রয়েছেন।

রাত আটটার দিকে গণভবনে আলেমদের এই সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশটি পরিচালনা করছেন মাওলানা মাহফুজুল হক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত আছেন।

জানা গেছে, আল্লামা আহমদ শফীর নেতৃত্বেই স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে কওমি মাদ্রাসার। কওমি আলেমদের চাহিদা অনুযায়ী শুধু সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসের স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে।

গণভবনের অনুষ্ঠানে আলেমদের মধ্যে উপস্থিত আছেন মাওলানা আশরাফ আলী, মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আবদুল বাসিত বরকতপুরী, মাওলানা আবদুল হালিম বোখারি, মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ, মুফতি রুহুল আমীন, মাওলানা সুলতান যওক নদভী, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মাওলানা জোবায়ের আহমদ চৌধুরী, মাওলানা আযহার আলী আনোয়ার শাহ, মাওলানা মুসলেহুদ্দীন রাজু, মাওলানা কেফায়াতুল্লাহ, মাওলানা নুরুল ইসলাম, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি আরশাদ রাহমানী, মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ প্রমুখ।

২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়। ২০১৩ সালে কওমি সনদের স্বীকৃতি দিতে উদ্যোগ নেয় সরকার। ‘কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা আইন-২০১৩’ অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকেও ওঠে। তখন স্বীকৃতির বিরোধিতা করে হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন। পরে সরকার আলেমদের ঐক্যবদ্ধ করে স্বীকৃতি ঘোষণার উদ্যোগ নেয়।

কওমি সনদের স্বীকৃতির বিষয়ে গত ২৮ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দেশের ছয়টি কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে কওমি সনদের স্বীকৃতির বিষয়ে সবাই ঐকমত্যে পৌঁছেন। এরপর শুরু হয় সনদের রূপরেখা প্রণয়নের কাজ। সবশেষে আজ আসছে ঘোষণা।



মন্তব্য চালু নেই