আশাশুনির পাচার হওয়া গৃহবধূ আসমা আড়াই মাসেও উদ্ধার হয়নি

আশাশুনি উপজেলা সদর থেকে পাচার হওয়া গৃহবধু আসমা খাতুন (২৫) মানব পাচারকারী চক্রের খপ্পরে পড়ে উধাও হওয়ার পর আড়াই মাস অতিক্রান্ত হলেও তার হদিস মেলেনি।

পাইকগাছা উপজেলার ফতেপুর গ্রামের নিজাম সরদারের পুত্র আহমেদ ফেরদৌস ৮ বছর পূর্বে আশাশুনি গ্রামের আলী হোসেন সরদারের কন্যা ফাতেমা খাতুনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সাড়ে চার বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ফেরদৌস রাইজার ফার্মা মেডিকেল রিপ্রেজেনটিটিভ হিসাবে চাকরী করেন। গোপালগঞ্জে চাকরী করার কারণে তার স্ত্রী মাঝে মধ্যে সন্তানকে নিয়ে পিতার বাড়িতে থাকতেন।

দক্ষিণ গদাইপুর গ্রামের মৃতঃ মজিবর সরদারের পুত্র মঈনুর ইসলাম ও শাহিনুর ইসলাম এবং মনিপুর গ্রামের ফয়জুদ্দিন সানা ওরফে ফজর সানার পুত্র কামরুল নারী পাচারকারী চক্রের সদস্য। তারা সুযোগ বুঝে আসমাকে বিভিন্ন সময় বিদেশে চাকরীসহ নানান প্রলোভন দেখাতে থাকে। ১০/৩/১৫ তাং আসমা পিতার বাড়িতে বেড়াতে আসলে চক্রটি তাকে প্রলোভন দেখাতে থাকে।

একপর্যায়ে ২৩/৪/১৫ তাং চক্রটি তাকে বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে ফুসলিয়ে বাপের বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে নিজেদের হেফাজতে নেয়। বিষয়টি আসমার মা জানতে পেরে ঐদিনই আশাশুনি থানায় সাধারণ ডায়েরী (নং ১০২২) করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পাচারকারী চক্রের মঈনুর মোবাইলে হুমকী দিতে থাকে। ব্যাপক খোজাখুঁজি ও থানা পুলিশ করার কারণে পাচারকারীরা বাদি পক্ষ এমনকি ইউপি চেয়ারম্যান এড. শহিদুল ইসলাম পিন্টুর কাছেও ফোন করে আসমাকে তার আইনজীবি সমিতি কার্যালয়ে কখনো অন্য কোথাও ফেরৎ দেবে বলে বাহনা করতে থাকে। কিন্ত শতচেষ্টা করেও তারা তাকে উদ্ধার করতে পারেনি।

অসহায় স্বামী আহমেদ ফেরদৌস শিশু পুত্রকে নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছেন। চাকরী-বাকরী ও সন্তানের ভবিষ্যৎ এবং সর্বোপরি স্ত্রীকে উদ্ধার করা নিয়ে চরম ভাবে হেনস্থা হচ্ছেন তিনি। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সাতক্ষীরার বিজ্ঞ বিচারক আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্তপূর্বক ৩০/০৭/১৫ তারিখের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের আদেশ দিয়েছেন। নারী পাচারকারীদের হাত থেকে স্ত্রীকে উদ্ধারে পুলিশ ও আদালতের আশু ব্যবস্থা নিতে স্বামী ফেরদৌস আবেদন জানিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই