আয়নার সামনে ও পেছনে আয়শা মনিকা

লেখক এবং নির্মাতা পরিচয়টাকেই বেশি গুরুত্ব দেন আয়শা মনিকা। তেমনটিই লেখা আছে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে। তিনি মনে করেন, ‘দেখুন ক্যামেরার পেছনে কাজ করার আনন্দ আছে। সৃষ্টির সুখটা পাওয়া যায়। সেটা হোক স্ক্রীপ্ট লেখা বা নির্দেশনা।’

আয়শা মনিকার চাচা হচ্ছেন জনপ্রিয় চলিচ্চত্র নির্মাতা ইবনে মিজান। মনিকার মতে হয়তো এ কারণেই ক্যামেরার পেছনে তার এত ঝোঁক। তাই বলে যে ক্যামেরার সামনে তিনি কাজ করেননি তা কিন্তু না। অসংখ্যা একক নাটক, টেলিছবি এবং কয়েকটি টিভি সিরিয়ালেও দেখা গেছে তার অভিনয়ের মুন্সিয়ানা। প্রশংসাও পেয়েছেন। কিন্তু কিছুতেই নিয়মিত হননি অভিনয়ে।

নতুন খবর হলো আয়শা নতুন দুটি বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হয়েছেন। বিজ্ঞাপন দুটির একটি নির্মাণ করেছেন পিপলু অন্যটি মেজবাউর রহমান সুমন। শিগগিরই টিভি পর্দায় নতুন এই দুই বিজ্ঞাপনচিত্রে দেখা যাবে তাকে।

আয়শা মনিকা বলেন, ‘আমি এর আগেও বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হয়েছি। অমিতাভ রেজা ভাইয়ের ডানো বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছিলাম। এর আগে পিপলু আর খান ভাইয়ের পরিচালনায় গ্রামীণফোন, ট্যাং, ফ্রেশ অ্যাকটিভ সুপার সল্ট এর বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছি।। পিপলু ভাইয়ের পুরনাভা এবং সুমন ভাইয়ের এসএমসি মনি মিক্স এর বিজ্ঞাপন দুটি দর্শকের ভালো লাগবে। এতটুকু বলতে পারি।’

সকহারি নির্মাতা হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিমের সঙ্গে। এরই মাঝে নির্মাতা হিসেবে হাত পাকিয়ে নিয়েছেন ‘ভাষা সন্তান’ এবং ‘কালাগুল’ যৌথ নির্মাণের মাধ্যমে। এবার একক পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন আয়শা। তিনি শরৎচন্দ্রের মেঝদিদির চিত্রনাট্য তৈরির কাজ শেষ করেছেন এরই মাঝে। শিগগিরই এর নির্মাণে নামবেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমি আমার এত দিনের অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগাতে চাই। এই ধরেন বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের সঙ্গে আমার যে তিন বছরের কাজের অভিজ্ঞতা। সেলিম ভাইয়ের সঙ্গে পাঁচ বছর কাজ করেছি। এসব অভিজ্ঞতা নিয়েই আমি নিজেকে তৈরি করেছি। আমার স্বপ্নের বা মনের কাজটা এখন করতে চাই। একটু আলাদা কিছু। দেখি কি হয়।’

12325094_1217049001655935_1883735816_n



মন্তব্য চালু নেই