আ.লীগের বিদ্রোহীদের কারণে সহিংসতার শঙ্কা

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীতদের পাশাপাশি বিদ্রোহী প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলে সংশ্লিষ্ট ইউপিতে সহিংসতার আশংকা রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে ইসিকে দেয়া গোপন প্রতিবেদনে এ আশংকার কথা জানিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জয় পেতে সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যেই সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে। এ সুযোগে অরাজকতা উসকে দিতে পারে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের কর্মীরাও। সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বিরোধীদল পরিস্থিতির সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করতে পারে বলে ধারণা করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক বৈঠকে এ আশঙ্কার কথা ইসিকে অবহিত করেছে আইন-শঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, দলীয় প্রতীকে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নির্বাচন কেন্দ্র করে কোথাও বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতির অবনতি যে কোনো হতে পারে জানিয়ে আইন-শৃংখলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা ইসিকে অবহিত করেছে, ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা যে এলাকায় সেখানে সহিংসতা বেশি হতে পারে।

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নির্বাচনী এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে নির্বাচনী সহিংসতা ও অনিয়ম বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেছেন সিইসি। অরাজক পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাকে দায়ী করা হবে বলেও সতর্ক করে দেন সিইসি।

দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচন দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ছয় ধাপে দেশের ৪ হাজার ২৭৫ ইউপিতে নির্বাচন হবে। ইতোমধ্যে দুই ধাপের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।

আগামী ২২ মার্চ থেকে ধাপে ধাপে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন স্থানে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা, হামলা-ভাঙচুর, প্রতিপক্ষকে মারধর করার ঘটনাও ঘটেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও ইসিতে অভিযোগ করেছেন। নির্বাচনে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব, ইসি সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে দিক নির্দেশনা দেন সিইসি।

ইসি সূত্র জানায়, বৈঠকে কমিশনের প্রস্তাবনায় সাধারণ কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ১৭ সদস্য ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৯ সদস্য মোতায়েন করতে বলা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে একটি করে মোবাইল টিম ও তিনটি ইউপিতে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স রাখার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় র‌্যাবের দুটি মোবাইল ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং প্রতিটি উপজেলায় বিজিবির দুটি মোবাইল টিম ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন এবং উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ড মোতায়েনের জন্য বলা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই