রাজশাহীতে সংঘর্ষ

আ’লীগের ১২শ নেতাকর্মীর নামে পুলিশের মামলা

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী : বাগমারার আউচপাড়া ইউনিয়নের হাটগাঙ্গোপাড়ায় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষ ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় ৬০ জনের নাম উলে¯œখসহ অজ্ঞাত এক হাজার ২০০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

রোববার বিকেলে দায়ের করা মামলাটি বাদি হয়েছেন হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদšত্ম কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মাসউদ আলী সরকার। মামলায় পুলিশের উপর হামলা, সরকারি কাজে বাধাদান ও আওয়ামী লীগের এক কর্মী গুলিতে নিহতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে বাগামারার ১৬টি ইউনিয়নে শনিবার ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচন কমিশন থেকে সেই ভোট স্থগিত করে দেওয়া হয়। তার পরেও বাতিল হওয়া এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জান মোহাম্মদ সরদার ও বিদ্রোহী প্রার্থী এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুজ্জামান শহিদের কর্মী-সমর্থখদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

এরই জের ধরে শনিবার দুপুর থেকে সঘংর্ষ ছড়িয়ে পড়ে দু.গ্র¤œপের মাঝে। সেটি বিকেলে গিয়ে ভয়াবহ র¤œপ লাভ করে। জান মোহাম্মদের বাহিনী গিয়ে শহিদের বাড়িতে হামলা চালানোর পর থেকে সহিংসতায় র¤œপ লাভ করে।

মামলা দায়ের প্রসঙ্গে রাজশাহীর পুলিশ সুপার নিশার¤œল আরিফ বলেন, ওই ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। এতে ৬০ জনের নাম উলে¯œখসহ অজ্ঞাত আরো ১২০০ জনকে আাসমি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গুলিতে সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হন। সংঘর্ষের সময় রমজান আলী রঞ্জু নামের অপর একজন হার্টএ্যাটাকে মারা যান।

পুলিশ সুপার নিশার¤œল আরিফ আরো বলেন, সংঘর্ষে পুলিশসহ পক্ষ ছিল তিনটি। অপর দুই পক্ষের একটি আওয়ামী লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আরেকটি বিদ্রোহী। সংঘর্ষের সময় তিন পক্ষই শক্তি পদর্শণ করেছে। সেখানে পুলিশ ছাড়াও অন্যরাও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে।

ফলে আওয়ামী লীগ কর্মী সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক কাদের গুলিতে নিহত হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদšেত্মর প্রতিবেদন পাওয়া গেছে সেটি জানা যাবে। তবে রঞ্জু হার্টএ্যাটাকে মারা গেছেন। তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানান পুলিশ সুপার।

তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাতে সারনদি গ্রামে এক প্রার্থীর সমর্থকের পুকুরের মাছ বিশ দিয়ে মেরে ফেলা হয়। এর জের ধরে অপর প্রার্থীর সমর্থকদের ভূট্টা ক্ষেত নষ্ট করে ফেলা হয়েছিল। এ থেকে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

সে ক্ষোভ থেকে দু’পক্ষ হাটগাঙ্গপাড়া বাজারে জড়ো হতে থাকে। বিকেলে এক পক্ষ মিছিল বের করলে সাথে সাথে অপর পক্ষও মিছিল বের করে। এভাবে সংর্ঘের সূত্রপাত হয় বলে জানান পুলিশ সুপার আরিফ।



মন্তব্য চালু নেই