বন্ধুর অনুরোধ রাখতে গিয়েই খুন হয় দীপন

আ.লীগ ভালো হয়ে উঠুক, সব ক্ষমা করে দিবো

জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধীকারী প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যাকাণ্ডসহ মুক্তমনাদের উপর হামলার ঘটনায় রাজনীতিবিদদের দায়ী করে তাদের কঠোর সমালোচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও প্রকাশক দীপনের বাবা অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক।

তিনি বলেন, ‘দুশ্চরিত্র নেতারা রাজনীতি করলে দেশের অবস্থা কখনো ভালো হতে পারে না। রাজনৈতিক দলের চরিত্র আগে উন্নত করতে হবে। রাজনীতি দলের ভেতরে করতে হবে। আজকে আওয়ামী লীগ ভালো দল হয়ে উঠুক, আমরা তাদের অতীতের সব অপরাধ ভুলে গিয়ে তাদেরকে ক্ষমা করে দিবো। অন্যকোনো দল ভালো হতে চাইলে তাদেরকে এদেশের মানুষ গ্রহণ করে নেবে।’

প্রকাশক দীপন হত্যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর কনকর্ড এম্পোরিয়ামের সামনে প্রকাশকদের আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় এ কথা বলেন তিনি।

তিনি সাবেক জননেতা শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা ভাসানীদের স্মরণ করে বলেন, ‘আজকে যে সন্ত্রাস, লুটপাট, চাঁদাবাজ এগুলো যে জঘন্যভাবে বিস্তার করেছে এ থেকে উদ্ধার করার জন্যে দেশে একজন নেতা নাই। যে চরিত্রবল দরকার তা কোথায়? যে মেধা দরকার তা কই?’

দীপনের মৃত্যু পরবর্তী দিনে তার উক্তি প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি বলেছি শুভবুদ্ধির উদয় হোক। চোর-ডাকাত, জেল কারাগার এসব করে তো কোনো লাভ নেই। আমার দীপনকে কি কেউ ফেরত এনে দিতে পারবে? বিচার আছে বিচার চলুক, কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা হলো মানুষের মধ্যে ধনী-গরীব, রাজনীতিবিদ-জনগণের মধ্যে শুভবুদ্ধির দারুন অভাব রয়ে গেছে। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে যারা কাজ করছে তারা যে ভালো কাজ করছে তা কি বলা যাবে? গণতন্ত্রের নামে, সমাজতন্ত্রের নামে, ধর্মের নামে তারা অপকর্ম করছে। তারা জোর জবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকছে। আর পাল্টা যারা ধর্মের কথা বলছে তাদের মধ্যে তো ইসলাম নাই। জোরাজুরি করে জয়ী হওয়ার চেষ্টা।’

তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন- আমরা কখনো কখনো ফজলুল হক সাহেবের বিরুদ্ধে কথা বলতে চাইতাম। জনগণ দাঁড়িয়ে যেতো। তারা বলতো, হক সাহেব আমাদের লোক, তার বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারবেন না। মাওলানা ভাসানীর ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ছিল। আজকে আমাদের লোকটা কে? আমাদের লোক আমাদেরকে সৃষ্টি করতে হবে।’

বন্ধুর অনুরোধ রাখতে গিয়েই খুন হয় দীপন



মন্তব্য চালু নেই