ইউপি নির্বাচনঃ অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবে বিএনপি

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবে বিএনপি। নির্বাচনে কৌশলেই এগুচ্ছে দলটি। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) কোনো কারণে প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হলে সেক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন দেবে বিএনপি।

তাই অনেক জায়গায় একাধিক প্রার্থী মাঠে রাখার কৌশল নিয়েছে বিএনপি। বিগত পৌরসভা নির্বাচনের মতো ইউনিয়ন পরিষদেও স্বতন্ত্র’ প্রার্থী রাখতে চায় দলটি।

এক দল থেকে প্রত্যয়নপ্রাপ্ত একাধিক প্রার্থী রাখা যাবে না বলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের কারণে এ কৌশল নিয়েছে দলটি। ইসিতে প্রত্যয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখের আগের দিন গতকাল দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্তদের প্রত্যয়নপত্র দেয়া শেষ করছে বিএনপি। তবে শেষ মুহূর্তে এসে প্রত্যয়নপত্র দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন অনেক প্রার্থী। ‘

ইউপি নির্বাচনেও বিএনপিতে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক বেশি। দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের জন্য তৃণমূলের পাঁচ নেতার সঙ্গে ২০০৮ সালে এমপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীদেরও যুক্ত করায় কেন্দ্রে একক প্রার্থীর চেয়ে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশীর নামযুক্ত সুপারিশই এসেছে বেশি।

এ কারণে দল মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিটি ইউপিতে স্বতন্ত্র অন্তত একজনকে নির্বাচনের মাঠে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজনে একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী রাখারও কৌশল নিয়েছে দলটি। তবে দল মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়ন ইসিতে টিকে গেলে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যাতে বিদ্রোহী না হন সে বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী রাখার বিষয়টি সবাইকে খুশি রাখার কৌশল বলেও মন্তব্য করেন দলটির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা।

তৃণমূলের নেতাদের সুপারিশের আলোকে এবার মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হলেও নানাভাবে কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন। ফলে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। তৃণমূল থেকে বহু মনোনয়নপ্রত্যাশী নালিশ জানাতে ছুটে আসেন বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে।

বেশির ভাগেরই অভিযোগ জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে। প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ায় জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপের সুযোগ না থাকা সত্ত্বেও তারাই মূলত এ ক্ষেত্রে প্রভাব খাটাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। এ ধরনের অভিযোগের মাত্রা বেশি থাকায় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ও প্রত্যয়নপত্র প্রস্তুত করতে দেরি হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই