একুশে টেলিভিশনের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্ত তিন মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে মামলার তদন্ত শেষ না হলে আব্দুস সালামের জামিন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার জন্য বিচারিক আদালতকেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে করা মামলায় আব্দুস সালামের জামিন আবেদন শুনানি শেষে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে এদিন সালামের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মহসীন হোসাইন ফরাজী।

অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুর রহমান চৌধুরী টিকু।

এর আগে গত ৮ জানুয়ারি উসকানি দিয়ে পুলিশে বিদ্রোহের চেষ্টা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় পুলিশ মামলা করে।

এ মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন সালামের আইনজীবীরা।

চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি রাতে যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত এক সভায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫০ মিনিটের একটি বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টেলিভিশন (ইটিভি)।

এরপর ৬ জানুয়ারি ভোরে কারওয়ানবাজারে ইটিভির কার্যালয়ের নিচ থেকে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবদুস সালামকে ধরে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে পর্নোগ্রাফি আইনে দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ইটিভির সাবেক চেয়ার আব্দুস সালাম বর্তমানে কারাগারে।