ইডেন কলেজের ছাত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে ইডেন কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী শরীফা আক্তার পুতুলকে (২১) হত্যা মামলায় স্বামী শিকদার মাহমুদুল আলমকে (৩৫) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান খান এই রায় ঘোষণা করেন। শরীফা আক্তার পুতুল মোল্লাহাট উপজেলার দৈবকান্দি গ্রামের মো. আবু দাউদের মেয়ে এবং ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইতিহাস বিভাগের সম্মান তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। মাহমুদুল আলম একই গ্রামের সামছুল আলমের ছেলে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে পলাতক রয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি শেখ মোহাম্মদ আলী মামলার বরাত দিয়ে বলেন, শরীফার বড় বোন সাগরিকা মাহমুদুলের বড় ভাই শাইকুলের স্ত্রী। আত্মীয়তার সূত্র ধরে শরীফার সঙ্গে মাহমুদুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিবারের কাউকে না জানিয়ে তারা গোপনে বিয়ে করেন। পরে ঘটনা জানাজানি হলে উভয় পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নিয়ে ২০১৩ সালের ১০ মে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে দেন। বিয়ের তিন দিন পর ১৩ মে রাতে শরীফার মুঠোফোনে অশ্লীল খুদে বার্তা দেখে ক্ষুব্ধ হন মাহমুদুল। অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে- এই অজুহাতে মাহমুদুল ক্ষিপ্ত হয়ে শরীফাকে হত্যা করেন। হত্যার পর রাতেই মাহমুদুল কীটনাশক পান করে মোল্লাহাট থানায় গিয়ে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে তালাবদ্ধ ঘরের ভেতর থেকে শরীফার লাশ ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার করে।

ঘটনার পরদিন ১৪ মে নিহত শরীফার বাবা মো. আবু দাউদ বাদী হয়ে মোল্লাহাট থানায় মাহমুদুল আলমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ন ম খায়রুল আনাম তদন্ত শেষে ওই বছরের ১০ নভেম্বর মাহমুদুল আলমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এই রায় ঘোষণা করেন।



মন্তব্য চালু নেই