ইতিহাসের সবচেয়ে প্রিয় ও প্রভাবশালী প্রেসিডেন্টের অজানা কিছু তথ্য

ফ্রাঙ্কলিন ডিলেনো রুজভেল্ট আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে প্রিয় ও প্রভাবশালী প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি তাঁর জাতিকে গভীর বিষাদ থেকে বের করতে পেরেছিলেন আশাবাদ এবং সংকল্পের মাধ্যমে। তিনি ছিলেন বিখ্যাত প্রকৃতিবিদ, উদ্ভাবক এবং রাজনিতীবিদ। যুক্তরাষ্ট্রের তিনিই একমাত্র প্রেসিডেন্ট, যিনি তিনবার এ দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৮৮২ সালের ৩০ জানুয়ারিতে নিউইয়র্কের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। ১৯৪৫ সালের ১২ই এপ্রিল তিনি মারা যান। তাঁর সম্পর্কে এই তথ্যগুলো আমরা জানি। আজ আমরা তাঁর সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে নেই আসুন।

১। তাঁকে “স্ফিংক্স” নামে ডাকা হত
ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টেকে সবাই FDR নামেই ডাকতো, সাংবাদিকরা তাঁকে “The Sphinx” নামটি দিয়েছিলেন। তাঁর ৮ ফুট দীর্ঘ কাগজের তৈরি ভাস্কর্য তৈরি করা হয় ১৯৩৯ সালে যা এখনো হোয়াইট হাউজে আছে।

২। গাড়ি চালাতে পা ব্যবহার করতে হয়না এমন একটি বিশেষ গাড়ির নকশা করেছিলেন তিনি
পোলিও আক্রান্ত হয়ে তাঁর কোমরের নীচের অংশ চিরতরে অবশ হয়ে যায়। জর্জিয়ার ওয়ার্ম স্প্রিং এ থাকাকালীন নিজের গাড়ির জন্য এমন একটি যন্ত্রের নকশা করেছিলেন যার মাধ্যমে পায়ের ব্যবহার ছাড়াই গাড়ি চালাতে পারবেন। এছাড়াও একটি স্বয়ংক্রিয় সিগারেট বন্টনকারী যন্ত্র উদ্ভাবন করেছিলেন যাতে উপগ্রহ রেডিও সিস্টেম বসানো ছিলো।

৩। তাঁর বইয়ের সংগ্রহ ছিলো বিশাল
১৯৪৫ সালে তাঁর মৃত্যুর সময়ে তাঁর সংগৃহীত বইয়ের সংখ্যা ছিলো ২১০০০। তিনি কলেজে পড়াকালীন সময় থেকেই বই সংগ্রহ করা শুরু করেছিলেন। ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরীতে ও মিউজিয়াম হাউজে তাঁর বইগুলো আছে। তাঁর শৈশবের প্রিয় বই ছিলো স্যার স্যামুয়েল হোয়াইট এর “Cast up by the sea” বইটি।

৪। বিচারকের কেরানীর চাকরিটি তাঁকে রাজনীতিবিদ হতে সাহায্য করেছিলো বলে মনে করতেন তিনি
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশের পর তিনি একজন বিচারকের কেরানীর চাকরি পান। পরবর্তীতে তিনি এই চাকরির কথা উল্লেখ করে বলতেন যে, এটাই ছিলো তার রাজনৈতিক জীবনের প্রবেশদ্বার।

৫। গড়পড়তা ছাত্র ছিলেন তিনি
তিনি ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত পারিবারিক ভাবেই শিক্ষা গ্রহণ করেন। ছাত্রাবস্থায় গড়পড়তা সাধারণ মানের ছাত্র ছিলেন তিনি, তবে সামাজিক ভাবে খুবই সক্রিয় ছিলেন তিনি। তিনি কলেজের সংবাদপত্রের সম্পাদক ছিলেন। তিনি স্নাতক পাশ করার পরে বার এক্সামেও পাশ করেন। তিনি হার্ভার্ডে পড়ার সময় এলিনর এর সাথে সম্পর্ক হয় এবং তাঁরা ১৯০৩ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

আরো কিছু তথ্য : রুজভেল্টের মা ও প্রথম স্ত্রী একই দিনে অর্থাৎ ১৮৮৪ সালের ভ্যালেন্টাইন’স ডে তে মারা যান, তিনি ছোট বেলায় মারাত্মক অ্যাজমা রোগে ভুগতেন কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলতেন না, তিনি অসামান্য দ্রুত গতিতে বই পড়তে পারতেন- সকালের নাস্তার আগেই একটি বই পড়ে শেষ করতেন, তিনি প্রচুর কফি পান করতেন, জাতিসঙ্ঘ সৃষ্টিতে তাঁর বিশেষ অবদান রয়েছে, তিনি ৩৫ টি বই ও ১লক্ষ ৫০ হাজারটি চিঠি লিখেছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই