ইনক্রিমেন্ট বাদ, নতুন পদ্ধতিতে বাড়বে বেতন

মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদন হওয়া নতুন বেতন কাঠামোয় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইনক্রিমেন্ট সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। এর পরিবর্তে নতুন পদ্ধতিতে প্রতি বছর ১ জুলাই সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন নির্দিষ্ট হারে বাড়বে।

সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে নতুন বেতন কাঠামো অনুমোদনের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসেন ভুইঞা এ কথা জানান।

সচিব বলেন, “বেতন কাঠামোয় নতুন একটি বিষয় প্রচলন করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম। এখন থেকে নির্ধারিত ইনক্রিমেন্ট ও কর্মদক্ষতার শর্ত আর থাকছে না। মূল বেতনের নির্দিষ্ট একটা হারে এই বেতন বাড়বে। এই হার বিভিন্ন গ্রেডের ক্ষেত্রে বিভিন্ন। উপরের গ্রেডের চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধির হার নিচের দিকের চাকরিজীবীদের তুলনায় কম।”

মোশাররফ হোসেন ভুইঞা বলেন, ২০ থেকে ষষ্ঠ গ্রেড পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধির হার হবে ৫ শতাংশ, পঞ্চম গ্রেডের ক্ষেত্রে হবে ৪.৫ শতাংশ, তৃতীয় ও চতুর্থ গ্রেডের ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় গ্রেডের ক্ষেত্রে ৩.৭৫ শতাংশ। প্রথম গ্রেডে কোনো বেতন বৃদ্ধি হবে না। এভাবে প্রতি বছরের বর্ধিত বেতন মূল বেতনের সঙ্গে যুক্ত হবে। এর উপর নির্ধারিত হারে বেতন বাড়বে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “পত্রিকায় লেখা হচ্ছে টাইম স্কেল গেল গেল। বেতন বৃদ্ধির আগের পদ্ধতি চালু রাখলে যে পরিমাণ বেতন বৃদ্ধি হতো, নতুন নিয়ম চালু করার পর তার চেয়ে বেশি বেতন বাড়বে। সেটা আমরা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করেছি। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির পরিমাণ আগের চেয়ে বাড়বে।”

টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, টাইম স্কেল কেউ পায়, কেউ পায় না। সিলেকশন গ্রেড আরও বৈষম্যমূলক, কম সংখ্যক লোক এটা পায়। নতুন পদ্ধতিতে সবার জন্য বেতন বাড়বে। এ সুবিধা সার্বজনীন। কিছু প্রতিষ্ঠানের জন্য সুবিধার চেয়ে সার্বজনীন সুবিধাকে বেশি যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য বলে মন্ত্রিসভা মনে করেছে।

বর্তমানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতির নির্ধারিত সময়ে আর্থিক সুবিধা হিসাবে সিলেকশন গ্রেড দেওয়া হয়। আবার চাকরির একটি নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টাইম স্কেল দেওয়া হয়।

বেতন কমিশন ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে পর্যালোচনা কমিটি টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিলের সুপারিশ করে।



মন্তব্য চালু নেই