ইন্টারনেটের গতি হবে কমপক্ষে ৫ এমবিপিএস

পরিবর্তন আসছে ব্রডব্যান্ড নীতিমালায়। একই সঙ্গে ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞাও সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ব্রডব্যান্ডের জন্য এর ব্যান্ডউইথের গতি ৫ এমবিপিএস (মেগাবাইট পার সেকেন্ড) করা হচ্ছে। বর্তমানে ২ এমবিপিএস গতির ব্যান্ডউইথকে ব্রডব্যান্ড বলা হয়।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ‘জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালা-২০০৯’ সংশোধনের জন্য একটি খসড়া প্রস্তাব পাঠাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটআরসি) একটি নির্দেশনা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বিটিআরসিতে পাঠানো হয়েছে ।

এ প্রসঙ্গে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ব্রডব্যান্ড নীতিমালাটি নেয়া হয়েছিল প্রায় ৬ বছর আগে। এতদিনে প্রযুক্তি অনেক এগিয়েছে। মানুষের ইন্টারনেট ব্যবহারের সক্ষমতা বেড়েছে। সাইবার অপরাধের মতো নতুন নতুন সমস্যার উদ্ভব হয়েছে। পুরোনো নীতিমালায় যেসব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল সেগুলো সময়ের আগেই অর্জিত হয়েছে। তাই নতুন করে নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বিটিআরসিকে বলা হয়েছে, ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞায় গতি নির্দিষ্ট করে না দিয়ে একটা সীমারেখা দিতে। এছাড়া বারবার নীতিমালা পরিবর্তন না করে সরকার নির্বাহী আদেশে ব্রন্ডব্যান্ডের সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনতে পারে সে ব্যবস্থাও নীতমালায় রাখতে বলা হয়েছে।’

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে ১০০ এমবিপিএস গতির ব্যান্ডউইথকে ব্রডব্যান্ড বলে। আবার দেশটির গ্রামাঞ্চলে ৫ এমবিপিএসকে ব্রডব্যান্ড হিসেবে ধরা হয়।’

জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালা-২০০৯-এ ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞায় ন্যূনতম গতি ধরা হয় ১২৮ কেবিপিএস। এর চেয়ে কম গতির ব্যান্ডউইথকে ন্যারোব্যান্ড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এরপর ২০১৩ সালে ১ এপ্রিল বিটিআরসির এক নিদের্শনায় ব্রডব্যান্ডের জন্য ন্যূনতম ব্যান্ডউইথ ১ এমবিপিএস করা হয়। পরে এটি পরিবর্তন করে সম্প্রতি ২ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথকে ব্রডব্যান্ড বলা হচ্ছে ।



মন্তব্য চালু নেই