ইন্টারনেট তারকা হতে কী করছে তরুণীরা?

স্টার হতে কতজন কত কিছুই না করে। এক সময় সিনেমায় একটা সিকুয়েন্স পেতে এফডিসিতে ঘোরাঘুরি করতো অনেকেই। এখন সেই যুগ শেষ। ইন্টারনেটের যুগে এসে সবকিছুই পাল্টে গেছে। যে কেউ চাইলেই এখন তাদের প্রতিভা প্রকাশ করতে পরে। শুধু ভিডিও শেয়ারিং মাধ্যম ইউটিউবের মাধ্যমেই অনেকেই আজ তারকা বনে গেছে। ঠিক তেমনি একটি ঘটনা ঘটছে চীনে।

গণচীনের তরুণীরা তারকা হতে কত কিছুই না করছে। তবে তা আমাদের দেশের চেয়ে একটু ভিন্ন পন্থায়। তাদের এই পন্থায় আছে যৌনতা। তারা নিজেদের কে লাইভ স্ট্রিমে দেখানোর ব্যবস্থা করে। এ জন্য নিজেকে আকর্ষণীয় দেখাতে হবে। যত মানুষ দেখবে, তত আয়। তবে কষ্টও অনেক। কসমেটিক সার্জারি করতে হয়। করণ, লাইভে কোন কিছুইতো দেখানো বাদ থাকে না। তাই শরীরের যে যে অংশে খুঁত রয়েছে তা সেরে নিতে হয়।

দেশটির রাজধানী বেইজিংয়ে অবস্থিত লাইভস্ট্রিম ট্যালেন্ট এজেন্সি ‘থ্রি মিনিট টিভি’ কার্যালয়ে কম্পিউটারের সামনে বসে লাইভ দেন এমন তরুণীর সংখা হবে কয়েক হাজার। যাদের লক্ষ্য একটা তারা টাকা কামানোর মধ্য দিয়ে তারকা হওয়া।

তবে শুধু ‘থ্রি মিনিট টিভি’ নয়। এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দেশটিতে জানা না জানা লাখ খানি রয়েছে বলে ধারণা সরকারের। ইন্টারনেটে অশ্লীলতাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ৪,৩১৩ টি অনলাইন শো রুম বন্ধ করে দেয়। প্রায় ১৮ হাজারের মতো উপস্থাপিকাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়।

লাইভ স্ট্রিমে থাকা উপস্থাপিকাকে দর্শকদের সন্তুষ্ট রাখতে, তাকে ভার্চুয়াল উপহার দিতে, অনেকভাবে প্রলুব্ধ করা হয়। তারা কখনো গান গায়, কখনো প্রেমের অভিনয় করে। আর অনলাইন গিফট থেকে অর্জিত অর্থ ভাগ করে নেয় উপস্থাপিকা, প্রোডাকশন কোম্পানি এবং লাইভস্ট্রিম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া বিভিন্ন অনলাইন কোম্পানির ব্র্যান্ডিংয়ের জন্যও কাজ করেন তারা।



মন্তব্য চালু নেই