ইবোলা মুক্ত হয়েছে গিনি

গিনিতে দু’বছর ধরে মহামারি আকারে দেখা দিয়েছে ইবোলা ভাইরাস। এই রোগে দেশটিতে প্রায় আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সিয়েরা লিওন এবং লাইবেরিয়াতে প্রায় ৯ হাজার মানুষ ইবোলা ভাইরাসের কারণে মারা গেছে। তবে সম্প্রতি গিনিকে ইবোলা মুক্ত হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগ্যানাইজেশন (ডব্লিউএইচও)। ইবোলা মুক্ত হওয়ার আনন্দে কনসার্ট আর আতসবাজি দিয়ে সাধারণ নাগরিকরা উদযাপন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে নভেম্বরে সিয়েরা লিওনকে ইবোলা মুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। আর লাইবেরিয়াকে সেপ্টেম্বরে ইবোলা মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। দেশটিতে ২১ দিন ধরে ইবোলায় আক্রান্ত হওয়ার কোনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। তবে এই রোগের কারণে গিনির সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসির রিপোর্টার ইব্রাহিমা।

জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী ইবোলার কারণে গিনির প্রায় ৬ হাজার ২শ ২০ জন শিশু তাদের বাবা-মাকে হারিয়েছে। এদের মধ্যে অনেক শিশুই তাদের বাবা মায়ের মধ্যে একজনকে বা দু’জনকেই হারিয়েছে।

তবে এই রোগের সেবা দিতে গিয়ে বা রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেয়ে শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আর এই ভাইরাসের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব থাকায় যারা বেঁচে আছেন তাদের দিন কাটছে অনেকটা হতাশা আর দুর্দশার মধ্যে। বিশেষ করে গিনির ইবোলার সঙ্গে লড়াই করাতো বেশ কঠিন ব্যাপার।

তবে কিছু দেশ ইবোলার মহামারি সম্পর্কে বিশ্বাস করেনা। আবার কিছু দেশ এই রোগের জন্য পশ্চিমা দেশ এবং গিনি কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করে থাকে।



মন্তব্য চালু নেই