ইরান থেকে সরানো হল ইউরেনিয়ামের মজুদ

ইরানের মজুদ ইউরেনিয়ামের প্রায় সবটাই চুক্তি অনুযায়ী সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আর এই ঘটনায় ইরানের প্রশংসা করে মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জন কেরি বলেন, প্রতিশ্রুতি রাখতে ইরান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপটি পালন করল।

কয়েক মাস আগে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে সই করে ইরান। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, তেহরানের পরমাণু অস্ত্র বানানোর জন্য জরুরি যতটা ইউরেনিয়াম মজুত রয়েছে, তার পুরোটাই ইরান থেকে সরিয়ে নেয়া হবে। পরিবর্তে ইরানের ওপর থেকে তুলে নেওয়া হবে প্রায় এক দশক ধরে জারি থাকা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা। এর ফলে, ইরান এখন থেকে বিশ্বজুড়ে তার ইচ্ছা মতো দামে খনিজ তেল বিক্রি করতে পারবে। দেশে দেশে তেল রপ্তানি করতে পারবে ইচ্ছা মতো।

এক সময়ে মস্কোর ‘বন্ধুদেশ’ ইরানকে পরমাণু অস্ত্রের নিরিখে ‘পঙ্গু’ করা হল তেহরানে মজুত ইউরেনিয়াম রুশ জাহাজে চাপিয়ে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে। ইউরেনিয়াম তেহরান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রুশ পরমাণু সংস্থা ‘রোসাটম’-এর জাহাজে।

গত সাত বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পর আগামী বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ইরানকে পারমাণবিক ভাবে ‘খোঁড়া’করে দেওয়াটা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পররাষ্ট্র নীতির সবচেয়ে বড় সাফল্য বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।



মন্তব্য চালু নেই