ইসরায়েলে আযানের উপর নিষেধাজ্ঞার উদ্যোগ

মসজিদে আযানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। এলক্ষ্যে দেশটির সংসদে একটি বিল উঠেছে। বিলটি পাস হলেই ইসরায়েলে আযান দেয়া নিষিদ্ধ হবে । খবর বিবিসি ।

বিবিসির খবরে বলা হয়, গত রবিবার ইসরায়েলি মন্ত্রীরা সংসদে দুটি বিল উত্থাপন করেন । এরমধ্যে একটি বিল মসজিদ থেকে দৈনিক ৫ বার প্রচারিত উচ্চ শব্দের আযানের ধনির উপর বিধিনিষেধ আরোপের কথা বলা রয়েছে। আর অপরটি হলো পশ্চিম তীরের অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের উচ্ছেদ করার একটি কর্মসূচী বন্ধ করবার কথা বলা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, আযানের শব্দ সীমিতকরণের এই উদ্যোগ মূলত বহু ইসরায়েলি নাগরিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নেয়া হয়েছে।

প্রথম বিলটি মূলত মুসলিমদের উপর প্রভাব ফেলবে। ইসরায়েলের মোট জনগোষ্ঠীর ২০%-ই আরব এবং তাদের অধিকাংশই মুসলমান। এ আইন পাস হলে নতুন করে জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্ব মুসলমানরা।

এ প্রসঙ্গে ফিলিস্তিনের একজন কর্মকর্তা বলছেন, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক কিছু ‘উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড’ থামানোর জন্য তারা জাতিসংঘের দ্বারস্থ হবেন বলে ভাবছেন।

নাবিল আবু রুদেইনার ভাষ্য, অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের বৈধ করার এবং আযানের শব্দ বন্ধ করে দেবার যে উদ্যোগ ইসরায়েল নিয়েছে, তা ওই এলাকায় ‘বিপর্যয় ডেকে আনবে’।

উল্লেখ্য মুসলমান ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী প্রতিদিন ৫ বার নামাজের জন্য আহ্বান জানানোর জন্য আযান দেয়া হয়। যিনি আযান দেন তাকে মুয়াজ্জিন বলা হয়। সাধারণত আযান প্রচারিত হয় মসজিদগুলোতে থাকা সুউচ্চ মিনারের সঙ্গে যুক্ত মাইক বা লাউড স্পিকারের মাধ্যমে।



মন্তব্য চালু নেই