ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম থেকে বাদ দিতে পারে বাংলাদেশ

সংখ্যালঘু ভিন্ন মতাদর্শের মানুষের ওপর হামলার জেরে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বাদ দিতে পারে বাংলাদেশ। খবর ব্রিটেনের দ্য ইনডিপেন্ডেন্টের।

খ্রিস্টান, হিন্দু ও শিয়াদের ওপর সাম্প্রতিক সময়ে হামলার ঘটনায় ধারণা করা হচ্ছে এর পেছনে রয়েছে ইসলামী চরমপন্থীদের হাত।

এদিকে, ব্রিটেনের আরেকটি পত্রিকা ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বাদ দিতে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে একটি যুক্তিতর্কের শুনানি কার্যক্রম চলছে।

১৯৯৮ সালে ইসলামকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তখন থেকেই সংখ্যালঘু নেতারা বিষয়টির বিরোধীতা করে আসছেন। তাই তারা এবারের এই যুক্তিতর্কে অংশগ্রহণ করে প্রমাণ করতে চাইবেন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করার বিষয়টি অবৈধ ছিল।

তবে ইনডিপেন্ডেন্টের খবরে বলা হয়, এটা ঠিক পরিষ্কার নয় বিষয়টি নিয়ে তারা কতদূর যেতে পারবে। যেহেতু বাংলাদেশের ৯০ শতাংশই মুসলমান নাগরিক। ৮ শতাংশ হিন্দু ও ২ শতাংশ অন্যান্য মতাবলম্বীর মানুষ বাস করে এখানে।

খবরে বলা হয়, মাসখানেক আগে পঞ্চগড় জেলায় একটি মন্দিরে আক্রমণ করে একজন হিন্দু পুরোহিতকে হত্যাসহ আরও দুইজনকে আহত করা হয়। গত বছর কয়েকজন ভিন্ন মতাদর্শের ব্লগারকে হত্যা করা হয়।

গত বছর বিদেশিসহ সংখ্যালঘুদের ওপর করা অন্তত সাতটি হামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমকে দায়ী করেছে ভুক্তভোগী ব্লগাররা। যদিও সরকার আইএসের উপস্থিতির বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

এ ধরনের সংগঠনগুলো ধীরে ধীরে শক্তিশালী হচ্ছে দাবি করে ইনডিপেন্ডেন্ট জানায়, ব্যাপকহারে নতুন নতুন সদস্য এই সংগঠনগুলোতে যোগদান করছে।



মন্তব্য চালু নেই