“ইয়াকুব ভাই, একটা মন খারাপের চা দেন”

-ইয়াকুব ভাই, একটা মন খারাপের চা দেন।

– এইডা কেমুন কথা কইলেন ভাই! দুধ চা হয়, রং চা হয়, কিন্তু মন মেজাজ খারাপের চা কেমনে বানামু?

– আমি আপনাকে শিখিয়ে দিলে তো পারবেন?”

হ ভাই, আপনে জ্ঞানী মানুষ, একবার দেখায় দিলেই কিলিয়ার!

– মন খারাপের চা এ কোন দুধ থাকবে না, চিনি থাকবে না, চা পাতাও থাকবে না। আপনি কাপ এ গরম পানি নিয়ে চামুচ দিয়ে ঘুটা দিবেন। সেইটাই মন খারাপের
চা।

ইয়াকুব মোল্লা ব্যাপারটা খুব স্বাভাবিকভাবে নিল। জয়নালের কাছে এরকম কথা সে প্রায়ই শোনে।
ইয়াকুব মোল্লা পানি গরম করতে শুরু করল।

জয়নালের প্রেমিকা, সুলতানার বিয়ে হয়ে গেছে গত পরশু। জয়নাল অবশ্য ব্যাপারটা নিয়ে মন খারাপ করেনি। কারন সে জানতো, সুলতানার অন্যত্র
বিবাহ অবধারিত। এখন যদি মনটাও খারাপ না করা হয়, তাহলে ব্যাপারটা কেমন জানি হয়ে যায়।
সেজন্যই আজকে জয়নাল মন খারাপের চা খেতে আসছে।

জয়নাল এখন ফুট পাথে বসে মন খারাপের চা খাচ্ছে। সামনে বিশাল এক গাছ। এই গাছটার নাম শিশু গাছ। জয়নালের মাথায় আসেনা, এরকম দামড়া গাছের নাম শিশু কেন হবে? এর নাম হবে বুইড়া গাছ!

বিশাল শিশু গাছের ফাঁক দিয়ে, বিশাল এক চাঁদ দেখা যাচ্ছে! আজকাল পৃথিবীর সিস্টেমে কি জানি একটা হয়েছে, প্রায়ই ফুল মুন, ব্লাড মুন, সুপার মুন, আরো কত মুন দেখা যায়। এত ক্যাটাগরির চাঁদ আগে
ছিলনা। আজকে নাকি সুপার মুন!

ভাইজান, কি দেখেন এত্ত মনোযোগ দিয়া? ইয়াকুব মোল্লা হঠাৎ জিজ্ঞেস করল।

– সুপার সুলতানা দেখি ইয়াকুব ভাই! সুপার সুলতানা!”

জয়নাল সুলতানাকে ভালবেসে চাঁদ বলে ডাকতো।

chadas



মন্তব্য চালু নেই