ই-মেইল থেকে তথ্য চুরি করে ১১ ভাগ হ্যাকার

সাইবার অপরাধের যেন শেষ নেই। নতুন নতুন কৌশলে সাইবার অপরাধ সংঘটিত হয়েই চলেছে। বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি সংস্থা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাইবার অপরাধ নতুন ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে।

সাইবার জগতে ৯ ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভেরন গ্রুপ সম্প্রতি এক তথ্য গবেষণায় এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ভেরন গ্রুপের মতে, সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গোপন নম্বর সংগ্রহ করে ৯ ধরনের অপরাধ করছে।

ভেরন গ্রুপের সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যায়, বিগত বছরের তুলনায়, হ্যাকারদের অপরাধের সীমা পরিসীমা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছ। চারমাসের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, হ্যাকাররা এ সময় ৮০ হাজার অপরাধ করেছে।

৬১টি দেশে এ অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। হ্যাকাররা যে শুধু ব্যাংকের টাকা লুট করেছে তা নয়, শিশুদের পর্ন ছবি বাজারে ছেড়ে অর্থ আয় করেছে। এ ধরনের অপরাধের পরিমাণ ২ হাজার ১২২টি। হ্যাকারদের এ অপরাধ দমনে যুক্তরাষ্ট্র সরকার নানা মুখী পদক্ষেপ নিলেও কার্যত সব কিছুই যেন অন্তঃসার শূন্য হয়ে যাচ্ছে। শতকরা ৯৬ ভাগ ক্ষেত্রে পুলিশ ও প্রশাসন ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।

হ্যাকারদের নতুন কৌশল দমনে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই -এর কম্পিউটার বিভাগে ২৯০ জন দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ দিনরাত কাজ করছে। ওয়েব পেজে গিয়ে ইউজারের নাম জেনে পাস ওয়ার্ড জেনে নিচ্ছে, তারপর সব গোপন তথ্য নিয়ে টাকা পয়সা লুট করছে অথবা ব্যবসায়ীকে বিপদে ফেলছে। শতকরা ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রে এ কাজ হচ্ছে।

আরও এক ধরনের অপরাধ হচ্ছে যাকে বলা যায়, ফিশিং ট্র্যাক। মৎস্য শিকারী বা জেলেরা যেমন নদীতে জাল ফেলে মাছ শিকার করে, তেমনি এ ধরনের অপরাধীরা কম্পিউটারে সার্চ করে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, নায়ক নায়িকা, এমন কি শিশুদের নিয়েও প্রতারণার ফাঁদ পাতছে। এ ধরনের হ্যাকারের সংখ্যা শতকরা ২৩ ভাগ।

ই-মেইল থেকে তথ্য চুরি করে অপরাধ করে শতকরা ১১ ভাগ হ্যাকার। সাধারণতঃ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক ও অন্যান্য মাধ্যমে এসব অপরাধ হয়ে থাকে।

এ সব অপরাধীদের দমন করতে নতুন কোন কৌশল অবলম্বন করবে এফবিআই, তা ভেবে পাচ্ছে না। সবচেয়ে বড় কথা, যে পদক্ষেপ তারা নিক না কেন সে তথ্য হ্যাকারদের কাছে চলে যাচ্ছে অতি দ্রুত গতিতে।

সূত্র : রয়টার্স



মন্তব্য চালু নেই