ঈদের চেয়ে জাতীয় দায়িত্ব বড় মুশফিকের কাছে

ঈদ মানে অন্যরকম আনন্দ। কিন্তু ঈদ মানে অন্যরকম অভিজ্ঞতাও। এমনটাই মনে হচ্ছে মুশফিকুর রহিমের। ঈদের ছুটি ছিল দুই দিন। কিন্তু বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক নিজের খুশির আগে রাখলেন দেশের জন্য তার ওপর দেওয়া দায়িত্বকে। পরিবার-পরিজন থাকলেন বগুড়ায়। আর চট্টগ্রামে আর কয়েকজন সতীর্থ খেলোয়াড়ের সাথে ঈদ পালন করছেন মুশফিক। অন্যরকম অভিজ্ঞতা নয়! এটা যে জাতীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বড় এক ত্যাগ শিকারও! এই প্রথম মা-বাবাকে ছাড়া ঈদ করছেন মুশফিক।

চাইলে মুশফিকও পারতেন পরিবার পরিজনের কাছে উড়ে যেতে। আজ ও আগামীকাল ক্রিকেটারদের ছুটি। তাই সুযোগ ছিল। কিন্তু সুযোগটা নেননি তিনি। নেননি আরো ৫ ক্রিকেটার। তারা থেকে গেছেন চট্টগ্রামে। পেশাদার ক্রিকেটারের মতোই। তবে মানুষ তো! ঈদ মানে জম্পেশ একটা দিন। তাই কিছুটা খারাপ লাগা ভেতরে থাকে। তা আড়াল করতে চান মুশফিক। “আমরা মুসলমানরা তো সব সময়ই পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদ পালন করতে চাই।” এরপর ঈদের খুশির চেয়ে জাতীয় দায়িত্বের প্রসঙ্গ যে বড় তা টেনে আনেন মিস্টার ডিপেনডেবল নামে পরিচিত এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। সাথে আছে খানিকটা বিষাদও। ঘর যে বড় মন টানে! এই বিশেষ দিনে তো আরো বেশি টানে। মুশফিকের কাছেই শুনুন, “আমাদের ওপর তো জাতীয় একটা দায়িত্ব আছে। তাই দেশে থেকেও আমরা মা-বাবাকে ছাড়া ঈদ করছি। মিস করছি তাদের। কিন্তু এর মধ্য দিয়ে অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা তো হলো।”

হোটেলে তো আর সারাদিন কাটবে না। তাহলে ঈদের এই অন্যরকম দিনে কি করবেন মুশফিক ও তার সাথে থাকা খেলোয়াড়রা? মুশফিক তার পরিকল্পনা জানিয়েছেন এভাবে, “চট্টগ্রামে আমার বেশ কিছু আত্মীয় স্বজন আছেন। তাদের বাসায় যাবো। ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবো।” বাকি সময়টা তার কাটবে হোটেলে কলিগদের সাথে আনন্দ আড্ডায়।

দেশবাশীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অধিনায়ক। সবার জন্য সুখ কামনা করেছেন। সবাইকে বিপদমুক্ত থাকার প্রার্থনা জানিয়েছেন। তার দলের জন্য দেশবাসীর শুভ কামনা চাইছেন মুশফিক।



মন্তব্য চালু নেই