ঈদের দিন ও রাতের আমল

এবাদতের সুন্দর সূচনা এবং যথার্থ সমাপ্তির মাধ্যমে ভালো ফলাফল আশা করা যায়। রোজার চাঁদ দেখে যে এবাদতের সূচনা হয়েছিল, শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখে সেই এবাদতের সমাপ্তি ঘটবে। রোজার মাসব্যাপী এবাদতের যথার্থ সমাপ্তি হয় ঈদরাতের আমলের মাধ্যমে।

আবু ওমামা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি দুই ঈদের রাতে এবাদতে ডুবে থাকবে, যেদিন সবার অন্তর মরে মরুভূমি হয়ে যাবে, সেদিন তার অন্তর সজীব ও সতেজ থাকবে (ইবনে মাজা)।

অন্যত্র মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি পাঁচটি রাত জেগে এবাদত করবে, জান্নাত তার জন্য অবধারিত। রাতগুলো হলোÑ যিলহজ মাসের ৮ ও ৯ তারিখের রাত, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার রাত, শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাত (আত তারগিব ওয়াত তাহরিব)।

শায়খুল হাদিস জাকারিয়া (রা.) বলেন, অন্তর সজীব থাকার অর্থ হলো, তাদের হƒদয় পাপে আচ্ছাদিত হবে না। এমনকি কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্ব মুহূর্তেও সিঙ্গায় ফুঁক দেওয়ার দিন তারা সজ্ঞান থাকবে (ফাযায়েলে রমজান)।

রাতজাগা এবাদতে ঈদরাতের সমাপ্তির পরই সকালে শুরু হয় ঈদের নামাজ। এ দিনের করণীয় সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে তাকবির উচ্চারণ কর। কেননা, তিনি তোমাদের হেদায়েত দান করেছেন (সুরা বাকারা-১৮৪)। এছাড়া মুসনাদে আহমদ ও বায়হাকি শরিফের বিভিন্ন হাদিসে ঈদের দিনে বেশকটি করণীয়ের কথা উল্লেখ আছে।

প্রত্যুষে ঘুম থেকে ওঠা, ২. মিসওয়াক করা, ৩. নামাজপূর্ব গোসল, ৪. সুগন্ধি ব্যবহার, ৫. চোখে সুরমা লাগানো ৬. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান ৭. আগেভাগে ঈদগাহে গমন ৮. অসহায়দের দান ৯. নামাজপূর্ব মিষ্টিদ্রব্য গ্রহণ ১০. নামাজপূর্ব সদকা আদায় ১১. পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া ১২. এক পথে যাওয়া ও ভিন্ন পথে ফেরা ১৩. ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদ’ বেশি বেশি পড়া।



মন্তব্য চালু নেই