ঈদে চাপ কমাতে সদরঘাটে চালু হচ্ছে দুটি টার্মিনাল

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সদরঘাট নৌ-টার্মিনালের ঘরমুখো মানুষের চাপ কমাতে দুটি নতুন টার্মিনাল চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

টার্মিনাল দুটির একটি হবে পুরনো ঢাকার লালকুটিরের সামনে, অপরটি সদরঘাটের নৌ-টার্মিনালের পশ্চিমে। এ দুটি টার্মিনাল আগামী ১৯ জুন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।

লালকুটিরের সামনের টার্মিনাল থেকে চাঁদপুরগামী এবং সরদঘাটের পশ্চিমের নতুন টার্মিনাল থেকে বরিশালগামী লঞ্চ ছেড়ে যাবে।

শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুরে বিআইডব্লিউটিএ’র সদরঘাট নৌ-বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক (যান্ত্রিক) জয়নাল আবেদিন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘আসন্ন ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে দুটি টার্মিনাল চালু করার সকল প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। আগামী ১৯ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে এ দুটি টার্মিনাল উদ্বোধন করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘১৯ জুন রোববার দুপুর ১২টায় মতিঝিল বিআইডব্লিউটিএ ভবনে ঈদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ ঈদে যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা, যাত্রী চাপ কমানোসহ নানা বিষয়ে বৈঠকে ঈদ প্রস্তুতির বিষয় চুড়ান্ত করা হবে। ওইদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন টার্মিনাল উদ্বোধন করবেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী।’

উদ্বোধনের পর আগামী ৩০ জুন থেকে নতুন এ দুটো টার্মিনাল থেকে ঈদ স্পেশাল লঞ্চও ছেড়ে যাবে। পাশাপাশি যাত্রীদের সুবিধার্থে নতুন ২০টি কাউন্টার খোলা হয়েছে। লঞ্চ যাত্রীদের এসব কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করে লঞ্চের আরোহী হতে হবে বলে নানা জয়নাল আবেদিন।

এছাড়া পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ২০জুন থেকে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রির পরিকল্পনা নিয়েছে লঞ্চ মালিকরা। ইতোমধ্যে লঞ্চের কেবিন বুকিং শুরু হয়ে গেছে। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের চলাচলকারী কোনো কোনো লঞ্চের কেবিন বুকিং প্রায় শেষের দিকে। আগামী ১৫ রোজার পর থেকে কেবিনের জন্য যাত্রীদের দোঁড়ঝাপ বেড়ে যাবে।

লঞ্চ মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া টিপু বলেছেন, ‘আমরা লঞ্চ মালিকরা সরকারি সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত। কখনোই যাত্রীদের ভোগান্তি দিয়ে লঞ্চ পরিচালনা করি না। যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়াও কোনো লঞ্চ মালিক আদায় করেন না।’

তিনি বলেন, ‘ঈদের আগের তিনদিনে একসঙ্গে যাত্রীদের চাপ পড়ে। টার্মিনালে লঞ্চ নোঙর করার মত পরিবেশ থাকে না। একসঙ্গে যখন যাত্রীরা লঞ্চে উঠে ওই মুহূর্ত সামাল দেয়ার মতো পরিবেশ থাকে না। আর ওই সময় ওই দৃশ্য বিভিন্ন মিডিয়া ফলাও করে ফোকাস করে। আর এর দায়ভার আমাদের লঞ্চ মালিকদের ঘাড়ে এসে চাপে। তখন আমাদের বলার মত কিছু থাকে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সব যাত্রীই নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাক। একটি লঞ্চে ৪০টি কেবিন আছে। ৪০টি কেবিনের জন্য চাহিদা আছে ২ হাজার যাত্রীর। তখন আমাদের কি করার আছে। যেসব যাত্রী কেবিন পায় না, তারাই মিডিয়ার সামনে কথা বলেন। এটা আমাদের কাম্য নয়।’



মন্তব্য চালু নেই