ঈদে মেহেদী ব্যবহারে সতর্কতা

ঈদকে ঘিরে আমাদের কত না প্রস্তুতি। সারাদিন রোজা রেখেও কতশত কেনাকাটা। সব কিছুর মাঝেও ঈদ অপূর্ণ থেকে যায় যদি হাত মেহেদির রঙে রাঙা না হয়। তাই চাঁদরাত থেকে শুরু হয় মেহেদি দেয়ার প্রতিযোগিতা। কে কত সুন্দর করে হাত রাঙাতে পারে। এসব কিছুর মাঝেও ছোট ছোট কিছু ভুল আপনার এই সুন্দর সময়টাকে নষ্ট করতে পারে। তাই এখনই জেনে নিন মেহেদি ব্যবহারে কিছু সতর্কতা।

মেহেদি দেয়ার পর অনেকে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে থাকেন যা কখনোই করবেন না। সাবানের ক্ষারীয় উপাদান মেহেদির রঙ ফিকে করে দেয়।

মেহেদি দেওয়ার আগে ওঅ্যাক্সিং করাবেন না। ওঅ্যাক্সিং করার ফলে আপনার ত্বক মসৃণ হয়ে যায়। ফলে মেহেদি রং ভালোভাবে বসে না এবং রঙ গাঢ় হয় না।

মেহেদি দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই হাত ধুয়ে ফেলবেন না। কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা মেহেদি হাতে রাখার চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে রাতে মেহেদি দিয়ে পরের দিন সকালে তা তুলে ফেলুন। গোসলের কাজটা মেহেদি দেওয়ার পূর্বে শেষ করে ফেলুন। মনে রাখবেন মেহেদি যত বেশি সময় হাতে রাখবেন তত বেশি গাঢ় রঙ হবে।

চিনি, লেবুর পানি মেহেদির রঙ গাঢ় করে। কিন্তু খুব বেশি ব্যবহারে মেহেদি খয়েরি রঙ হয়ে যায়, যা দেখতে একদমই ভালো না।

মেহেদি শুকানোর জন্য কখনই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না। এতে আপনার ডিজাইন নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রাকৃতিকভাবে মেহেদি শুকাতে দিন। প্রয়োজন হলে ফ্যান ব্যবহার করতে পারেন মেহেদি শুকানোর জন্য।

মেহেদি দেয়ার পূর্বে খুব বেশি পানি বা পানিজাতীয় খাবার খাবেন না।

হালকা বা আবছা আলোর মধ্যে মেহেদি দেবেন না। ভালো মেহেদি ডিজাইনের জন্য পর্যাপ্ত আলোর প্রয়োজন।

লেবুতে যাদের এলার্জি তারা অনেক সময় সরিষার তেল ব্যবহার করেন মেহেদি রঙ গাঢ় করার জন্য। তেল ব্যবহারে হাতের শুষ্কতা অনেকটাই কমে যায়। তবে তেল ব্যবহারের পূর্বে এর মান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নেবেন।

অনেকে মেহেদি তেল ব্যবহার করেন। মেহেদি তেল কেনার পূর্বে এর মেয়াদ এবং তৈরির উপাদান দেখে নেবেন। এটি মেহেদি লাগানোর পূর্বে ব্যবহার করতে হয়। কখনোই মেহেদি লাগানোর পর এই তেল ব্যবহার করবেন না।



মন্তব্য চালু নেই