লক্ষাধিক টাকার সিগারেট উদ্ধার

উখিয়ার হাট-বাজারে মিয়ানমারের তামাকজাত পণ্য

কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ সহ পুরো কক্সবাজারের ওপেন সিক্রেট বাজারজাত হচ্ছে মিয়ানমারের তৈরি নেশাযুক্ত সিগারেট। সীমান্তের তুমব্র, ঘুমধুম, বালুখালী, আঞ্জুমানপাড়া, থাইংখালী, পালংখালী, ধামনখালী দিয়ে চোরাই পথে আসা মরণনেশা ইয়াবা ও নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক হুমকি মিয়ানমারের তৈরি বিভিন্ন ব্রান্ডের স্বল্প মূল্যের তামাকজাত পণ্য স্থানীয় মুদির দোকানগুলোতে দেদারছে বিক্রি হওয়ার ঘটনা নিয়ে অভিভাবক তথা সচেতন মহল উদ্বিগ্ন।

সম্প্রতি পালংখালী ও বালুখালী বিজিবির সদস্যরা পৃথক অভিযান চালিয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের সিগারেট উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাকি দিয়ে পাচার হয়ে আসা এসব সিগারেটের বৃহত্তর চালান লক্ষ্যস্থলে পৌছে যাচ্ছে বলে দাবী করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

সরেজমিন উখিয়া সদর, বালুখালী, থাইংখালী, পালংখালী ও কুতুপালং বাজার ঘুরে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মিয়ানমারের তৈরি এক্সিন এক্সিন ও এমজি নামের লোভনীয় প্যাকেটে তৈরি করা এক প্যাকেট সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৮ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

খুচরা বিক্রেতা সুনিল বড়–য়া, নুর মোহাম্মদ সহ বেশ কয়েক জন ব্যবসায়ী জানান, মিয়ানমারের তৈরি এসব সিগারেটে নেশা জাতীয় পদার্থ সংমিশ্রণের কারণে ধুমপায়ী যুব সমাজের চাহিদা অনেক গুণ বেড়েছে। যে কারণে দেশীয় তৈরি তামাকজাত পণ্যের মধ্যে বিড়ি, সিগারেটের বাজারজাত প্রক্রিয়া অনেকটা থমকে গেছে।

দেশীয় তৈরি বিভিন্ন সিগারেট কোম্পানীর মাঠ পর্যায়ে নিয়োগকৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে আসা নেশা জাতীয় এসব সিগারেট যত্রতত্র বাজারজাত হওয়ার কারণে দেশীয় তৈরি সিগারেটের চাহিদা যেমন কমেছে, ঠিক একইভাবে বিদেশী নেশাযুক্ত সিগারেট পান করতে অভ্যস্থ হয়ে পড়ছে স্থানীয় ছাত্র, যুবসমাজ।

তারা দাবী করেন, পাচার হয়ে আসা এসব সিগারেটের বাজারজাতকরণ প্রতিরোধ করা না হলে স্থানীয় টোবাকো কোম্পানীর তৈরি করা তামাকজাত পণ্যের বাজার বাধাগ্রস্থ হয়ে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হতে বঞ্চিত হতে পারে।

আবুল খায়ের টোবাকো কোম্পানী মার্কেটিং অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, তারা সরকারি রাজস্ব ও ভ্যাট আদায় করে সরকারি বেধে দেওয়া নীতিমালা অনুসরণ করে বিড়ি, সিগারেট বাজারজাত করছে। এ শিল্পের সাথে জড়িত থেকে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে শত শত শিক্ষিত বেকার যুবক।

এমতাবস্থায়, মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে আসা নিকোটিন যুক্ত সিগারেট পাচার প্রতিরোধ করতে স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এগিয়ে আসা উচিত। সীমান্তের বালুখালী বিজিবির সুবেদার মোজাম্মেল হক ও পালংখালী আঞ্জুমানপাড়া বিজিবির নায়েব সুবেদার মিয়ানমার থেকে সিগারেট পাচার হয়ে আসার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গোপন সূত্রে সংবাদের ভিত্তিতে কুতুপালং ও বালুখালী এলাকা থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার সিগারেট উদ্ধার করেছে।



মন্তব্য চালু নেই