উচ্চশিক্ষার মান নিয়ে খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রশ্ন

দেশে উচ্চ শিক্ষার প্রসার ঘটলেও শিক্ষার প্রত্যাশিত মান নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। এই মূল্যায়ন খোদ উচ্চ শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসির। শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষা ও তথ্য প্রযুক্তি খাতে দক্ষতা বাড়াতে বিশেষ ‍উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শও দিয়েছে সংস্থাটি।

উচ্চ শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা এই সংস্থাটি বলছে, দেশের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচলিত পাঠ্যক্রম উন্নত মানের। তবে কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলো থেকে পাস করা স্নাতকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ।

তবে কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে মান খারাপ সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি।

জানতে চাইলে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, শিক্ষার মান নিয়ে আমাদের উদ্বেগ সব সময়ই ছিল। শিক্ষার প্রসার ঘটেছে ঠিকই। কিন্তু গুণমান সেইভাবে নিশ্চিত করতে পারিনি আমরা। তাই শুধু উচ্চ শিক্ষা নয়, প্রাথমিক থেকে শুরু করে সব লেভেলেই শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে।

ইউজিসির সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে (৪১তম বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৪) এই সুপারিশ করা হয়। প্রতিবেদনটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। জাতীয় সংসদের আসছে অধিবেশনে এই সুপারিশমালা তোলা হবে।

শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কমিশন বেশ কিছু সুপারিশ দিয়েছে ইউজিসি। এরমধ্যে রয়েছে, যুগের চাহিদা অনুযায়ী পাঠ্যক্রম প্রণয়ন ও সংশোধন করা, শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা বাড়ানো, লিখিত ও মৌখিকভাবে নিজস্ব চিন্তা উপস্থাপনের দক্ষতা ও আইটি দক্ষতা বাড়ানো। বিশ্ববিদ্যালগুলোর ভিন্ন ভিন্ন পরীক্ষা পদ্ধতি না রেখে সমন্বিত পদ্ধতি ও সিলেবাসের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকা উচিত বলেও মনে করে ইউজিসি।

উচ্চশিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো দাবি জানিয়ে কমিশন বলছে, বাংলাদেশ উচ্চশিক্ষা খাতে সরকারি বরাদ্দ জাতীয় বাজেটের শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ। এই বাজেট বরাদ্দ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নূন্যতম চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না বলেও মনে ইউজিসি।

জানতে চাইলে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, শিক্ষায় বিপ্লব আনতে হলে তার প্রধান শর্তই হচ্ছে কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিত করা। আর শিক্ষা প্রসারের জন্য তো বাজেট বাড়ানো দরকার।



মন্তব্য চালু নেই