উদ্বোধনের আড়াই মাসের মাথায় ব্রীজের সিড়ি ও এ্যাপ্রোচ সংযোগ সড়কের ধস

উদ্বোধনের মাত্র আড়াই মাসের মাথায় প্রায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে র্নিমিত ভোলা জেলার বৃহত্তম চরফ্যাশনের মায়ানদীর ব্রীজের এ্যাপ্রোচ সংযোগ সড়ক ও ব্রীজে উঠা নামার সিড়ি ধ্বসে পড়েছে। এতে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে দূর্ভোগ হচ্ছে। বিচ্ছিন্ন রয়েছে উত্তরের সাথে দক্ষিণের যোগাযোগ। সড়ক ও ব্রীজের উঠা নামার সিড়ি ধ্বসে পড়ার ঘটনায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজের মান নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে এবং মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বুধবার এলজিইডির ভোলার নির্বাহী প্রকৌশলী ছিদ্দিকুর রহমান সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাগন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এলজিইডির চরফ্যাশন উপজেলা প্রকৌশলী মো. সোলাইমান জানান, মায়ানদীর ব্রীজের উত্তর প্রান্তের এ্যাপ্রোচ সংযোগ সড়কের নির্মিত বক্স কালভার্টের উত্তর প্রান্তের উইং ওয়াল সংলগ্ন সড়কের ৫ থেকে ৭ মিটার এলাকা বর্ষার পানিতে ভেঙ্গে গেছে। উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী জানান, ব্যীজের কোন ক্ষতি হয়নি। বর্ষার ও জোয়ারের পানি নামার সময় খাল ছিড়ে রাস্তায় আঘাত করে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। জানাযায়, চর কলমী ও নুরাবাদ ইউনিয়নের মাঝে মায়ানদীর উপর প্রায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ভোলা জেলার সর্ববৃহৎ সড়ক সেতু মায়ানদীর উপর ব্রীজ নির্মাণ করা হয়।

এ ব্রীজটির দৈর্ঘ্য ৩৭৮ দশমিক ৪০ মিটার। ব্রীজের সংযোগ সড়ক সহ আরো ২টি ছোট ব্রীজসহ মায়া নদীর ব্রীজের মোট নির্মাণ ব্যায় হয়েছে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা। ব্রীজটি ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে শুরু করে এই বছরের ৩০ এপ্রিল নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়। ব্রীজটি নির্মাণ করেছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধানে নবারুণ ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। গত ৮ মে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে এবং পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ব্রীজটি জনগনের চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করেন। যার ফলে উপজেলার দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ইউনিয়নগুলোর সাথে উত্তরাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ শুরু হয়। ব্রীজটি উপজেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থানে পরিনত হয়। উদ্বোধনের পর থেকে ব্রীজে দর্শণার্থীদের ভীর বাড়তে থাকে। প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী ব্রীজে ভীর করে। কিন্তু উদ্ভোধনের মাত্র আড়াই মাস না যেতেই ঈদুল ফিতরের দু দিন আগে সংযোগ সিড়ি ধসে পড়ে এবং সোমবার ও মঙ্গলবার রাতে জোয়ার ও বর্ষার পানিতে এপ্রোস সড়ক ভেসে যায়। ফলে স্বাভাবিক যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি দর্শনার্থীদের আগ্রহেও ছেদ পরেছে। এ ঘটনায় পর স্থানীয়রা ঠিকাদারদের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।



মন্তব্য চালু নেই