উপকূল অতিক্রম করছে নিম্নচাপ

গভীর নিম্নচাপটি রবিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৬টার দিকে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। পরবর্তী ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে এটি উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে এবং বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

একই সঙ্গে সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকতে দেখিয়ে যেতে বলেছে সংস্থাটি।

নিম্নচাপের প্রভাবে ঢাকায় শনিবার দিনভর বৃষ্টি হয়েছে, বৃষ্টি ছিল রাতেও। তবে রবিবার সকাল থেকে ঢাকায় বৃষ্টি নেই। আকাশও ধীরে ধীরে পরিস্কার করে রোদ দেখা দিচ্ছে।

প্রাকৃতিক নানা কারণে সমুদ্রের একটি অঞ্চলে কেন্দ্রাভিমুখী ঝোড়ো হাওয়ার অঞ্চল বা লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। ক্রমান্বয়ে এ ঝোড়ো হাওয়ার অঞ্চলটি শক্তি সঞ্চয় করে করে (বাতাসের গতি বৃদ্ধি পেয়ে) সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ ও শেষে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, গভীর নিম্নচাপ হচ্ছে একটি ঝোড়ো হাওয়ার অঞ্চল, যেখানে বাতাসের গতিবেগ ৫১ থেকে ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকে।

বাতাসের গতিবেগ ৬১ থেকে ৮৮ কিলোমিটারের মধ্যে হলে তাকে বলে ঘূর্ণিঝড়।

গভীর নিম্নচাপটি শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়নি। ঝাড়টি নিম্নচাপের বৈশিষ্ট্য নিয়েই (বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫১ থেকে ৬০ কিলোমিটার) উপকূল অতিক্রম করছে।

আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে রবিবার সকালে জানানো হয়েছে, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে রবিবার সকাল ৬টায় সীতাকুণ্ডের কাছ দিয়ে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পরবর্তী

৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে এবং বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।

নিম্নচাপটির প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারী বর্ষণসহ ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। সাগর উত্তাল রয়েছে বলে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল এবং এর কাছাকাছি দ্বীপ ও চরে ভারী বর্ষণসহ ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কি.মি. বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলো এবং এর কাছাকাছি দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই