উল্লাপাড়ায় হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার শ্রমিক শফিকুল ইসলাম হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। রোববার সকালে বগুড়া-পবনা মহাসড়কের উল্লাপাড়া আরএস এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

সকালে বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সাধারণ মানুষ উল্লাপাড়া আরএস এলাকায় জড়ো হন। পরে সেখানে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, নিহতের মা কোহিনুর বেওয়া, আমিরুন নেচ্ছা, ছেলে আমিরুল ইসলাম, এলাকাবাসীর পক্ষে লিমন, বাদশা আকতার, নজরুল মাস্টার, জব্বার খান, আকতার হোসেন প্রমুখ। পরে তারা মহাসড়ক জুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এসময় হত্যাকারের মূূলহোতা হিসেবে অভিযুক্ত সোহরাব আলী সরদারের ফাঁসির দাবি করেন।

উল্লেখ্য, উল্লাপাড়া উপজেলার নয়নগাঁতী গ্রামের রফিকুল ইসলামের সঙ্গে একই এলাকার প্রভাবশালী সোহরাব আলী সরদারের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিলো। এ নিয়ে সোহরাব আলী বিভিন্ন সময় রফিকুল ও তার পরিবারকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলো। এরই জের ধরে চলতি বছরের ১৭ জুলাই বিকেলে রফিকুল ইসলামের ভাই শফিকুল ইসলাম নিখোঁজ হন। পরের দিন মহাসড়কের পাশে একটি পুকুর পাড়ে তার মরদেহ পাওয়া যায়। পরিবারের অভিযোগ সোহরাব আলী সরদার ও তার লোকজন শফিকুলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে নিহত শফিকুলের মা কোহিনুর বেগম বাদী হয়ে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

নিহতের মা শফিকুল ইসলাম জানান, সোহরাব সরদার তার লোকজন নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে হত্যা করেছে। থানায় মামলা না নেবার কারণে তিনি আদালতে মামলা করেছেন।

এলাকাবাসীর মধ্যে বাদশা মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে সোহরাব সরদার এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে একটি সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। ভয়ে এলাকার কেউ এতদিন তার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলতে পারেননি। এলাকার সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে তিনি এতদিন নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় এলাকাবাসী এখন তার বিরুদ্ধে সোচ্চার। শফিকুল হত্যার বিচার না হলে আগামীতে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

এ বিষয়ে উল্লাপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল হুদা জানান, জমিজমা নিয়ে এই দুটি পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। তবে শফিকুল মারা যাওয়া নিয়ে বর্তমানে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্তএ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে তিনি রাজি হননি।



মন্তব্য চালু নেই