ঋতুবদলের সময় শিশুদের একদিন পরপর গোসল করান

ডা. আবু সাঈদ শিমুল : শীত আসতে শুরু করছে। তবে এখনো গরম কিছুটা রয়েই গেছে। দিনের বেলায় প্রখর সূর্যের তেজ দিব্যি ভ্রূকুটি দেখাচ্ছে। ঋতুবদলের এই রকম আবহাওয়ার সঙ্গে বড়রা মানিয়ে চলতে পারলেও শিশুরা পারে না। তাই তো এই সময়টায় অসুস্থ হয়ে পড়ে অনেকে।

এ সময় সর্দি-কাশি সাঁড়াশি আক্রমণ চালায় শিশুর নাজুক শরীরে। তবে এই সর্দি-কাশি কিন্তু তেমন জটিল নয়। ভাইরাসজনিত এই সর্দি-কাশিতে বাচ্চাকে মধু, বাশকপাতা ইত্যাদি খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়।

ভাইরাস ছাড়াও ধুলাবালি থেকে অনেকের সর্দি-কাশি হয়। বৃষ্টিহীন এ সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা যেহেতু কম, তাই ধুলাবালির জ্বালাতনও বেশি। তাই যাদের ধুলাবালিতে অ্যালার্জি, তাদের বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক পরা উচিত। কাশির ভয়ে এ সময় বাচ্চাদের গোসলে থেকে বিরত রাখবেন না। বাচ্চাদের একদিন পরপর গোসল করালে ক্ষতি নেই। গোসলে ধুলা-ময়লার সঙ্গে জীবাণুও দূর হয়। ঠান্ডা পানি ও আইসক্রিম এ সময় একদম নয়। এতে কাশি ছাড়াও টনসিলের সমস্যা হতে পারে। তবে এই সময়টায় সোয়েটার পরানোর মতো ঠান্ডা না পড়লেও রাতে বাচ্চাকে নিয়ে বের হলে ফুলহাতা জামা পরানো উচিত। এ ছাড়া রাতে ঘুমের সময় ফ্যানের গতি কমিয়ে দিন। আর বাচ্চার গায়ে পাতলা চাদর দিন।

বাচ্চার ত্বকের দিকেও এ সময় খেয়াল রাখতে হবে। শুষ্কতা থেকে রক্ষা পেতে বাচ্চার শরীরে লোশন আর ঠোঁটে ভ্যাসলিনের ব্যবহার করা এখন থেকেই শুরু করুন।

এ সময় অনেক বাচ্চারই জ্বর হয়। সর্দি-কাশির মতো এই জ্বরও ভাইরাসজনিত। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জ্বরের ওষুধ, প্রচুর পানি বা তরল এবং পুষ্টিকর খাবার খেলে পাঁচ থেকে সাত দিনেই এই জ্বর ভালো হয়ে যায়। তবে জ্বর বা কাশি উভয় ক্ষেত্রেই দীর্ঘদিন স্থায়ী হলে কিংবা জটিলতা দেখে দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

লেখক : রেজিস্ট্রার, শিশু বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।



মন্তব্য চালু নেই