পাশের হার ৩২.৮৮% : ১৯জন জিপিএ-৫

এইচএসসি পরীক্ষায় কলারোয়ায় উত্তীর্ণের তালিকায় ধস

সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষায় এবার কলারোয়ায় উত্তীর্ণের তালিকায় ধস নেমেছে। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এবারই সর্বনিন্ম পাশের হারে বিস্মিত ও মর্মাহত হয়েছেন পরীক্ষার্থী-অভিভাবক-শিক্ষকরা। যদিও যশোর শিক্ষা বোর্ডেও পাশের হার কম। প্রকাশিত এইচএসসির ফলাফলে কলারোয়া উপজেলায় শতকরা পাশের হার ৩২দশমিক ৮৮। জিপিএ ৫ (এ প্লাস) পেয়েছে ১৯জন।
উপজেলার ১১টি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয়া ১৮৪৯জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে বিভিন্ন গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়েছে মাত্র ৬০৮জন। জিপিএ ৫ (এ প্লাস) পেয়েছে শেখ আমানুল্লাহ কলেজ থেকে ১২জন, সরকারি কলেজ থেকে ৫জন ও কাজিরহাট কলেজ থেকে ২জন। কলারোয়া সরকারি কলেজে থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয়া ৩২৪ পরীক্ষার্থীর মধ্যে বিভিন্ন গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯৩জন, বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রি কলেজে ৯৪জনের মধ্যে ২৬, ছলিমপুর হাজী নাছিরউদ্দীন কলেজে ১৩২ জনের মধ্যে ৪৯, চন্দনপুর ইউনাইটেড কলেজে ১২০জনের মধ্যে ৩৯, বেগম খালেদা জিয়া কলেজে ২৫৪জনের মধ্যে ১০৪, সোনাবাড়িয়া সোনারবাংলা কলেজে ১৪৩জনের মধ্যে ৩৫, কাজিরহাট ডিগ্রি কলেজে ১৮৫জনের মধ্যে ৪২, বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজে ৬৯জনের মধ্যে ১৪, ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান কলেজে ৫০জনের মধ্যে ২২, হাবিবুল ইসলাম হাবিব কলেজে ৫০জনের মধ্যে ১৯ এবং শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজে ৪২৮জনের মধ্যে ১৬৫জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে।
এদিকে, উপজেলার ৪টি মাদরাসা থেকে ১৩০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে আলিম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ১০৭জন। শতকরা পাশের হার ৮২দশমিক ৩১। তবে কেউ জিপিএ ৫ (এ প্লাস) পায়নি। কলারোয়া আলিয়া মাদরাসা থেকে ৬০জনের মধ্যে ৫৩জন, বুঝতলা আবু বক্কর ছিদ্দিকি মাদরাসা থেকে ১৯জনের মধ্যে ১৭জন, কাকডাঙ্গা মাদরাসা থেকে ৩৭জনের মধ্যে ২৭জন এবং হামিদপুর মাদরাসা থেকে ১৪জনের মধ্যে ১০জন বিভিন্ন গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়েছে।
অপরদিকে, এইচএসসি বিএম (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) পরীক্ষায় উপজেলার ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০জন পরীক্ষার্থী জিপিএ ৫ (এ প্লাস) পেয়েছে। সেগুলো হলো- ছলিমপুর হাজি নাছির উদ্দীন কলেজ থেকে ১০জন, বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রি কলেজ থেকে ৪জন, শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজ থেকে ৪জন, ধানদিয়া বেগম খালেদা জিয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে ১জন এবং বামনখালি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ থেকে ১জন।



মন্তব্য চালু নেই