এই ১১টি কৌশল আপনাকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিবে

কোনো কাজে নিজেকে অনুপ্রাণিত করার কাজটি একটু কঠিনই বটে। তবে এমন কিছু কৌশল আছে যেগুলো অবলম্বন করে আপনি নিজেকে সবসময়ই অনুপ্রাণিত রাখতে পারেন। এখানে এমনই ১১টি কৌশল রইল আপনার জন্য।

১. নিজের সঙ্গে কথা বলার ধরন বদলে ফেলুন
কোনো কাজের পেছনের উদ্দেশ্য নিয়ে নিজেকে যা বলেন তার বদলে ফেলুন। উদাহরণত, আপনি হয়তো এতদিন বিদ্যালয়ে ক্লাস করতে যাওয়ার পেছনে নিজেকে এই বুঝ দিতেন যে, ক্লাসে না গেলে বিদ্যালয় থেকে আপনাকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে বা পরীক্ষায় পাশ করতে পারবেন না। অথবা আপনি নিয়মিত ক্লাসে যাওয়ার কারণ হিসেবে নিজেকে এই বুঝ দেন যে এতে আপনি আপনার কর্মজীবনে সাফল্য লাভ করতে পারবেন। দ্বিতীয় বুঝটি আপনাকে আরো বেশি অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং আপনি ভালো পারফর্ম করবেন।

২. নিজেকে অন্যদের সঙ্গে তুলনা বন্ধ করুন
নিজেকে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করলে আপনার আত্মবিশ্বাস নষ্ট হবে। এবং আপনার অগ্রগতির সক্ষমতা কমে যাবে। কারণ অন্যদের সাফল্য দেখে আপনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়বেন।

৩. নিজের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বুঝুন
আপনি কীসের জন্য কাজ করছেন তা বুঝার চেষ্টা করুন। আপনি যদি তা না জানেন তাহলে তা সৃষ্টি করুন।

৪. প্রতিদিন ডায়রি রাখুন
আপনার প্রতিদিনের অগ্রগতির রেকর্ড রাখুন। গবেষণায় দেখা গেছে, দিনশেষে নিজের কাজের অগ্রগতি দেখে লোকে আরো বেশি অনুপ্রাণিত হন এবং কঠোর পরিশ্রম করেন।

৫. কোথায় শুরু করেছেন তা মনে রাখুন
প্রতিদিনের কাজের ডায়রি রাখতে শুরু করার কোনো একটি কাজ কয়েক সপ্তাহ বা মাস খানেক আগে কোথা শুরু করেছেন তা পুনরায় দেখুন। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে যে, আপনি দীর্ঘ কাজ করতে সক্ষম।

৬. সমালোচনায় ভয় পাবেন না
সমালোচনায় ভয় না পেয়ে বরং তা আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেন নিজের দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করুন।

৭. কাজ বন্ধ করার একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন
অনেক সময় কোনো কাজ শেষ করার জন্য আপনার হয়তো মনে হতে পারে যতটা সম্ভব বেশি পরিশ্রম করতে হবে। কিন্তু বরং হিতে বিপরীত হতে পারে। তারচেয়ে বরং প্রতিদিনের কাজের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্থারণ করে নিন এবং বিরতি নিন। আর নয়তো কাজের উদ্যম হারাবেন।

৮. স্মার্ট লোকদের সঙ্গে সময় কাটান
নিজের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান এবং বেশি জ্ঞানী লোকদের সঙ্গে সময় কাটালে আপনি নিজের দুর্বলাতাগুলো কী তা বুঝতে পারবেন এবং সেগুলো কাটিয়ে ওঠার উপায়ও জানতে পারবেন।

৯. অভ্যাসের ওপর নির্ভর করুন
নিজের আকাঙ্খিত আচরণগুলোকে অভ্যাস পরিণত করুন। তাহলে সাফল্য অর্জন সহজ হয়ে আসবে। উদাহরণত, আপনার হয়তো পড়তে ভালো লাগে। তাহলে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

১০. সমস্যাগুলো আগে থেকেই অনুমান করুন
আপনি যদি কোনো সমস্যা মোকাবিলার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত থাকেন তাহলে সে সমস্যা আসলে আপনি সহজেই এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি ভাবেন কোনো সমস্যাই আসবেনা তাহলে বিপদে পড়ে যাবেন।

১১. প্রক্রিয়ার ওপর মনোযোগ দিন
আপনি হয়তো আগেও শুনেছেন: জীবন হলো একটি অভিজ্ঞতামূলক সফরের মতো, কোনো গন্তব্য নয়। কিন্তু আপনি যদি জীবনের কোনো চুড়ান্ত গন্তব্যের ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভুত না করে বরং এই অভিজ্ঞতামূলক সফরের ওপর মনোযোগ দেন তাহলেই আপনি জীবনটাকে আরো বেশি উপভোগ করতে পারবেন। সূত্র্র: বিজনেস ইনসাইডার



মন্তব্য চালু নেই