এই ৪টি কারণেই মৃত্যুদণ্ডের আসামীকে ভোর হওয়ার আগেই ফাঁসি দেওয়া হয়

আসামীকে ফাঁসি দেওয়া হয় ভোর হওয়ার ঠিক আগে। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কি, কেন ভোরের আগেই ফাঁসি দেওয়া হয় একজন আসামীকে?

খবরের কাগজে কোনও প্রাণদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর ফাঁসির খবর নিশ্চয়ই কখনও না কখনও পড়েছেন। এবং সেই ফাঁসির প্রতিবেদনে এই বিষয়টিও নিশ্চয়ই আপনার নজরে এসেছে যে, ফাঁসির আসামীকে ফাঁসিকাঠে ঝোলানো হয়েছে ভোর হওয়ার ঠিক আগে। প্রতিটা মৃত্যুদণ্ডের ক্ষেত্রে তেমনটাই হয়ে থাকে। আসামীকে ফাঁসি দেওয়া হয় ভোর হওয়ার ঠিক আগে। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কি, কেন ভোরের আগেই ফাঁসি দেওয়া হয় একজন আসামীকে?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে দেখা যাবে, প্রধানত ৪টি কারণে একজন আসামীকে ভোরের আগেই ফাঁসি দেওয়া হয়ে থাকে। কী কী সেই কারণ? আসুন, জেনে নিই—

১. আইনি কারণ: ভারতের ‘মডেল প্রিজন ম্যানুয়াল’-এ স্পষ্টই বলা হয়েছে যে, দিনের আলো ফুটবার আগেই প্রাণদণ্ডকে কার্যকর করতে হবে।

২. প্রশাসনিক কারণ: প্রাণদণ্ডকে কার্যকর করতে গিয়ে জেলের অন্যান্য প্রশাসনিক কাজকর্ম যাতে কোনওভাবে ব্যাহত না হয়, সেদিকে নজর রাখা হয়। সেই কারণেই জেলের দৈনন্দিন কাজকর্ম শুরু হওয়ার আগেই ফাঁসির বিষয়টি সেরে ফেলা হয়। ফাঁসি হয়ে যাওয়ার পরে জেল কর্তৃপক্ষকে অনেকগুলি দায়িত্ব পালন করতে হয়। যেমন, মৃতদেহের ডাক্তারি পরীক্ষা, বিভিন্ন নথিপত্র তৈরি, মৃতের পরিবারবর্গের হাতে মৃতদেহ হস্তান্তর ইত্যাদি। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জেলের অন্যান্য প্রশাসনিক কাজ যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয়, তা সুনিশ্চিত করার জন্যই সকাল সকাল সেরে ফেলা হয় ফাঁসি দেওয়ার কাজটি।

৩. নৈতিক কারণ: ফাঁসি দেওয়ার সময় চেষ্টা করা হয়, আসামীকে যেন অতিরিক্ত মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করতে না হয়। দিনের মাঝামাঝি কোনও সময়ে ফাঁসিকে কার্যকর করা হলে, মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে প্রবল মানসিক চাপ ভোগ করতে হয় আসামীকে। সেই কারণেই রাত্রের ঘুম থেকে তুলে ভোরের আলো ফোটার আগেই ফাঁসিতে ঝোলানো হয় তাকে।

৪. সামাজিক কারণ: বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ফাঁসির ঘটনাগুলি অনেক সময় আপত্তিকর সামাজিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। সেই কারণে সমাজের মানুষ জেগে ওঠার আগেই সেরে ফেলা হয় ফাঁসির কাজটি।



মন্তব্য চালু নেই