একটানা বসে থাকলেই কিডনি ড্যামেজ!

কখনও কাজের ব্যস্ততায় বা আলসেমির কারণে আমরা একটানা বসে কাজ করি। অনেকে শুধু অফিসের ডেস্কেই বসে থাকেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। আবার কেউ বাসায় টিভি দেখতে দেখতে একটানা বসে থাকেন।

এতে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। তাৎক্ষণিক ভাবে এ ক্ষতি প্রকাশ না পেলেও দীর্ঘ সময় পর শারীরের স্থায়ীভাবে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। যেমন- কিডনি ড্যামেজ। আর এটা পুরুষদের চেয়ে নারীদের প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এক নাগাড়ে বসে থাকলে আরও যেক্ষতি হতে পারে :

  • অতিরিক্ত সময় একটানা বসে থাকলে দেহের সঠিক কার্যকলাপ ব্যাহত হয়। অল্পতেই বুড়িয়ে যায় দেহ।
  • একটানা বসে থাকার ফলে পরিপাকতন্ত্রের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। স্বাভাবিকভাবে খাদ্য হজম প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয় এবং দেহে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
  • একটানা বসে থাকলে মেরুদণ্ডের ওপর অনেক বেশি চাপ পড়ে। এতে মেরুদণ্ডের জয়েন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
  • একটানা বসে থাকলে মানসিক স্বাস্থ্যেরও সমস্যা দেখা দিতে পারে। যারা একটানা বসে কাজ করতে থাকেন তাদের নানা ধরনের মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন- হ্যালুসিনেশন, চিন্তা ক্ষমতা লোপ পাওয়া, বুদ্ধি কমে যাওয়া ইত্যাদি। কারণ একটানা বসে হয় আপনি একই কাজ করে চলেছেন অথবা অযথাই নানা চিন্তা করে চলেছেন যা সত্যিকার অর্থেই আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
  • বিভিন্ন ধরনের গবেষণায় দেখা গেছে, যারা একটানা বসে থাকেন এবং শারীরিক পরিশ্রম একেবারেই করেন না তাদের দেহে দীর্ঘমেয়াদি হৃদপিণ্ডের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের মতো রোগ বাসা বাধে।
  • একটানা বসে থাকার কারণে শারীরিক পরিশ্রম হয় না বলে মোটা হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে পেটের মেদ বেড়ে যায়।
  • একটানা বসে থাকার ফলে আমাদের দেহের নিচের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন হয় না। এতে করে সমস্যা শুরু হয় নানা অঙ্গে। একটানা বসে থাকার ফলে দেহের নিচের অংশের হাড় ভারি হওয়া শুরু করে ফলে হাড় এবং হাড় সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা দেয়। পিঠে ব্যথা, মেরুদণ্ডে ব্যথা হওয়া শুরু হয়। এ ছাড়া রক্ত সঞ্চালনে বাধা পায় বলে শিরা-উপশিরায় রক্তের অভাবে পেশীতে বোধশক্তির অভাবজনিত সমস্যাও দেখা যায়।
  • বাতের ব্যথা অন্যান্য জয়েন্টে ব্যথার মূল কারণ হচ্ছে একটানা বসে থাকা। এ ছাড় শারীরিক পরিশ্রম একেবারেই হয় না বলে দেহে ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

সূত্র : ইন্টারনেট।



মন্তব্য চালু নেই