একটি উইকেটের জন্য ১১ বছর অপেক্ষা

টেস্টে একটি উইকেটের জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হল ১১ বছর। কোনো কোনো অপেক্ষা তাহলে এত দীর্ঘও হয়। ২০০৫-এর জুনে চেস্টারলি স্ট্রিট টেস্টে শেষবার তিনি মোহাম্মদ আশরাফুলের উইকেট নিয়েছিলেন। ২০১৬-র অক্টোবরে নিলেন তামিম ইকবালের উইকেট।

শুক্রবার চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয়দিন ৭৮ রানে বাইশ গজে ধাতস্থ হয়ে ওঠা তামিমকে ফেরালেন ৩৯ বছর বয়সী ইংলিশ স্পিনার গ্যারেথ ব্যাটি। অবশ্য এটা কোনো রেকর্ড নয়।

দুটি টেস্ট উইকেটের মাঝখানে দীর্ঘ বিরতির মধ্য দিয়ে যাওয়া ইংলিশ বোলার হলেন লেন হাটন। ১৯৩৯-এ টেস্টে নিজের দ্বিতীয় উইকেট নেয়ার ১৬ বছর পর ১৯৫৫-তে তৃতীয় উইকেট পেয়েছিলেন হাটন। সেটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার রিচি বেনোর।

কাল চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয়দিন তামিমকে আউট করার পর ব্যাটি যেভাবে উদযাপন করলেন তাকে কেউ কেউ বাড়াবাড়ি বললে অতিশয়োক্তি হবে না। ব্যাটি নিজেও তা স্বীকার করেছেন, ‘আমার মন হয়, বেনোকে ফিরিয়ে দেয়ার পর হাটন উদযাপনে অনেক বেশি সংযত ছিলেন।’ নিজের উদযাপন সম্পর্কে তার ব্যাখ্যা, ‘আপনি যদি গড়পড়তা খেলোয়াড় হন, তাহলে সাফল্যের প্রতিটি মুহূর্ত আপনাকে উপভোগ করতে হবে।’

৪০ ছুঁই ছুঁই বয়সে টেস্টে ফিরেছেন তিনি অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে। বলেছেন, ‘জীবনে এর আগে কখনোই এতটা নার্ভাস হইনি আমি। যতটা এবার হয়েছি। কথা হল, যখন দ্বিতীয় সুযোগ পাবেন, আপনার তখন মনে হবে, আপনি সত্যিই বেঁচে আছেন।’

অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক নতুন বল তুলে দেন তার হাতে। এমনটি আগে কখনও তার বেলায় হয়েছে বলে মনে করতে পারেন না তিনি। ১০ রান বেশি দিয়েছেন। এমনটিই মনে হচ্ছে তার। বলেছেন, ‘আমরা কিছু কিছু খুব ভালো বল করেছি। তবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরাও ভালো করেছে।’

১৭ ওভারে একটি মেডেনসহ ৫১ রান দিয়ে তার প্রাপ্তি তামিম ইকবালের উইকেট। তাতেই খুশি ব্যাটি। উইকেটটা যে তামিমের। ধীরে ধীরে যিনি এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। তাকে থামানোর আনন্দই যে আলাদা। ব্যাটি তাই সত্যিই খুশি। দ্য গার্ডিয়ান থেকে নেয়া।



মন্তব্য চালু নেই